সংক্ষিপ্ত
গত পুরসভা নির্বাচনেও এই পুরসভার দখল রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও ভোটের ট্রেন্ড বলছে একই কথা। তবে জয় দিয়ে খাতা খুলে রীতিমত খুশি ঘাসফুল শিবির।
কোচবিহারের মাথাভাঙা পুরসভায় (Mathabhanga municipal elections) জয় দিয়েই খাতা খুলল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এই পুরসভার ১নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিশ্বজিৎ সাহা, ২ নং ওয়ার্ডে বিশ্বজিৎ রায় ও ৩ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রবীর সরকারকে ইতিমধ্যেই জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ সাহা ১৬০০ ভোটে জয়ী, বিশ্বজিৎ রায় ৮৯৬ জয়ী ও প্রবীর সরকার ৫৭২ ভোটে জয়ী হয়েছেন বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গত পুরসভা নির্বাচনেও এই পুরসভার দখল রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও ভোটের ট্রেন্ড বলছে একই কথা। তবে জয় দিয়ে খাতা খুলে রীতিমত খুশি ঘাসফুল শিবির।
১২ ওয়ার্ডের মাথাভাঙা পুরসভা দখল করতে মরিয়া শাসকদল। গতবারে এই পুরসভায় পাঁচটি আসন দখল করেছিল বিরোধীরা। এবার সেই পাঁচটি বিরোধীদের থেকে ছিনিয়ে নিতে জোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। একটা সময় এই কেন্দ্রে বামেদের রাজছিল। এখন বামেরা অস্তমিত। ১৯৮৬ সালের ২৯ মে এই পুরসভা কাজ শুরু করেছিল।
কোচবিহার পুরসভা-
স্বাধীনতার আগে থেকেই কোচবিহার পুরসভার অস্তিত্ব রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী ১৯৪৫ সালে ১৮ ডিসেম্বর এই পুরসভা স্থাপিত হয়েছিল। ২০টি ওয়ার্ডের এই পুরসভায়। এই পুরসভার মূল সমস্যা হল নিকাশি সমস্যা। এই পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করছন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
দিনহাটা পুরসভা- ১৯৭৩ সালে ৭ জুন এই পুরসভা স্থাপিত হয়েছি। এই পুরসভায় ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। ঘাসফুলের টার্গে সবকটি ওয়ার্ডই নিজেদের দখলে রাখা।
হলদিবাড়ি- এই পুরসভা স্থাপিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২৬ নভেম্বর। এই কেন্দ্রে লড়াইতে নেই বিরোধীরা। ১১টি ওয়ার্ডের ২টি জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বাকিগুলিতেও তেমন ভাবে চোখে পড়ছে না বিরোধীদের। প্রথম দিকে কংগ্রেসের দখলে থাকলেও পরে বামেরাই আধিপত্য করেছিল এই পুরসভায়। তবে ২০১৪ সাল থেকেই এখানে তৃণমূলের রাজ চলছে।
মেখলিগঞ্জ- ৯টি ওয়ার্ডের মেখলিগঞ্জ পুরসভার দখল নিতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। প্রচারের ধারে ও ভারে বিরোধীদের থেকে এগিয়ে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী। মেখলিগঞ্জে জেতার বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল। দলের নেতা কর্মীদের কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নই হাতিয়ার এই এলাকা।
মাথাভাঙা- ১২ ওয়ার্ডের মাথাভাঙা পুরসভা দখল করতে মরিয়া শাসকদল। গতবারে এই পুরসভায় পাঁচটি আসন দখল করেছিল বিরোধীরা। এবার সেই পাঁচটি বিরোধীদের থেকে ছিনিয়ে নিতে জোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। একটা সময় এই কেন্দ্রে বামেদের রাজছিল। এখন বামেরা অস্তমিত। ১৯৮৬ সালের ২৯ মে এই পুরসভা কাজ শুরু করেছিল।
তুফানগঞ্জ- তুফানগঞ্জ পুরসভার যাত্রা শুরু ১০ মার্চ ১৯৮৩। ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে তিনটি ওয়ার্ড বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে এখনও পরিচিত। সেগুলি হল ৯, ৩, ৪। এই তিনটি কেন্দ্রে জয়ের জন্য রীতিমত মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল।