সংক্ষিপ্ত

 ভোটে জেতার আনন্দে প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের মিষ্টিমুখ করালেন বিজয়ী কাউন্সিলর। ভালো নাম সুভাষ ব্যানার্জি হলেও এলাকায় তিনি ভূতো দা নামেই তিনি বেশি পরিচিত। 


বিধানসভা নির্বাচনের পর পুরসভা নির্বাচনেো কার্যত গোটা রাজ্যেই দেখা গিয়েছে ঘাসফুল ঝড়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় ফিরেছে শাসক তৃণমূল। ধরাশায়ী হয়েছে বিরোধী। এমনকী বিজেপি-র মতো রাজ্যের মূল বিরোধী দলও। এদিকে ভোটে বড় জয় পেয়ে স্বভাবতই খুশির হাওয়া বইছে শাসক শিবিরের অন্দরে। এমতাবস্থায় পৌর নির্বাচনে জেতার পর ৩৬ হাজার রসগোল্লা বিতরণ করলেন মধ্যমগ্রাম পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়ী প্রার্থী(winning candidate of Trinamool Congress in Ward No. 8 of Madhyamgram Municipality) সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ হাজারের ও বেশি বাড়ি রয়েছে। জেতার আনন্দে প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের মিষ্টিমুখ করালেন বিজয়ী কাউন্সিলর। ভালো নাম সুভাষ ব্যানার্জি হলেও এলাকায় তিনি ভূতো দা নামেই তিনি বেশি পরিচিত। 

অকৃতদার এই রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে দল এবং সাংগঠনিক কর্মী ও এলাকার মানুষ সবার সঙ্গেই আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। জেতার আনন্দে দল নির্বিশেষে সবার বাড়িতে মিষ্টি পৌঁছে দেন রবিবার সকাল থেকে। পরিবার পিছু দশটি করে রসগোল্লা পেয়ে অনেকেই খুশি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বিরোধীদলের ভোটারদের বাড়িতেও পৌঁছলো মিষ্টির প্যাকেট। এদিকে  এবারের পুরভোটে একশো পার করে ফেলেছে শাসকদলের। ১০৮টির মধ্যে ১০২টি পুরসভা তৃণমূলের দখলে। ১টিতে জয়ী বামেরা, আর ১ টিতে জিতেছে অন্যন্যরা। ৩টি পুরসভায় হয়েছে ত্রিশঙ্কু। 

আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা

আরও পড়ুন- “উনি নামেই যোগী, কিন্তু কর্মে ভোগী”, অখিলেশের প্রচারে ফের ঝড় তুলে বিজেপি তীব্র আক্রমণ মমতার

আরও পড়ুন- নির্দলের বিজয় মিছিলে তৃণমূলের হামলা, পাল্টা নির্দলীদের বিরুদ্ধে পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের

ফল বলছে বামেদের দখলে একমাত্র তাহেরপুর পুরসভা ও হামরো পার্টির দখলে দার্জিলিং পুরসভা। বাকি চারটি বেলডাঙ্গা, এগরা, ঝালদা ও চাঁপদানি পুরসভা ত্রিশঙ্কু। একইসাথে দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ৬টি, নদিয়ায় ১০টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ২৫টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৬টি, হাওড়ায় ১টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ২টি, শ্চিম মেদিনীপুরে ৭টি, হুগলিতে ১১টি পুরসভায় জয়ী হয়েছে শাসক তৃণমূল। এদিকে ভোটে ভরাডুবি হওয়ার পর ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপি-র অন্দরেও। প্রশ্নের মুখে পড়েছে দলীয় নেতৃত্ব। তবে ব্যর্থতার আসল কারণ জানার জন্য সমীক্ষা হওয়া প্রয়োজন বলে দাবি উঠেছে জাতীয় কমিটিতে। তবে তার আগেই রাজ্য বিজেপি-তে অভ্যন্তরীণ সমীক্ষার ভাবনা শুরু হয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও বিজেপি-র দাবি তৃণমূল অনেক জায়গায় সিপিএমের হয়েও ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। তারা নাকি শুরু থেকেই চেয়েছিল দ্বিতীয় স্থানেই তেকে যাক বামেরা। য়া নিয়েও জলঘোলা অব্যাহত রয়েছে।