সংক্ষিপ্ত

 

  • রাজ্য সভাপতির নির্বাচনীকেন্দ্রেই ধরাশায়ী বিজেপি
  • খড়গপুরে প্রথমবার জয়ের স্বাদ পেল তৃণমূল
  • ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতলেন শাসকদলের প্রার্থী
  • গত বিধানসভা ভোটে খড়গপুরে থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন দিলীপ ঘোষ
     

খোদ দলের রাজ্য সভাপতির নির্বাচনীকেন্দ্রেই ধরাশায়ী বিজেপি। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সদর বিধানসভাকেন্দ্রে প্রথমবার জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। কুড়ি হাজারেরও বেশি ভোটে জিতলেন শাসকদলের প্রার্থী প্রদীপ সরকার।

কংগ্রেস, বিজেপি-এর হাত ঘুরে এবার খড়গপুর সদর বিধানসভাকেন্দ্র তৃণমূলের দখলে। একসময় রেলশহরের সঙ্গে সমার্থক ছিলেন কংগ্রেসের নেতা জ্ঞান সিং সোহনপাল। তাঁকে অবশ্য 'চাচা' নাম চিনতেন সকলেই। খড়গপুর থেকে টানা দশবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের জমানায় রাজ্যের মন্ত্রীও হয়েছিলেন কংগ্রেসের এই প্রবীণ বিধায়ক। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে খড়গপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হন খোদ বিজেপি-এর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কংগ্রেসের জ্ঞান সিং সোহনপালকে হারিয়েও দেন তিনি। ৬১ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে রেলশহর থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন দিলীপ। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে তৃতীয় স্থানে ছিল তৃণমূল।  বস্তুত, গত লোকসভা ভোটেও খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে গেরুয়াশিবিরে ভোট আরও বাড়ে। মেদিনীপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন খড়গপুরের বিধায়ক দিলীপ ঘোষই। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনে সব হিসেবই উল্টে গেল।  বৃহস্পতিবার সকালে ভোট গণনার শুরুতে কিন্তু খড়গপুরে এগিয়ে ছিলেন বাম ও কংগ্রেসের জোট প্রার্থী। কিন্তু পঞ্চম রাউন্ড গণনার পর বিপুল ভোটে এগিয়ে যান তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার।  এরপর গণনা যত এগিয়েছে, রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থীর মার্জিনও তত বেড়েছে।  শেষপর্যন্ত কুড়ি হাজারেও বেশি আসনে খড়গপুরে জিতল তৃণমূল কংগ্রেসই। 

আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জে জয় পেল তৃণমূল, ২৩০৪ ভোটে জয়ী প্রার্থী

উল্লেখ্য, কংগ্রেসের দখলে থাকা উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জেও এবার খাসফুল ফুটেছে। নদিয়ার করিমপুরে তৃণমূলের জয় কার্যত সময়ের অপেক্ষায়। উপনির্বাচনের এই বিপুল জয়কে রাজ্যের মানুষকে উৎসর্গ করেছেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।