সংক্ষিপ্ত

 উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ বাহারাইল বিস্ফোরণ কাণ্ডে  ধৃত টোটোচালক রঞ্জন রায়কে সোমবার রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃত রঞ্জন রায়ের  বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের দায়ের করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ । 

 উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ বাহারাইল বিস্ফোরণ কাণ্ডে  ধৃত টোটোচালক রঞ্জন রায়কে সোমবার রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃত রঞ্জন রায়ের  বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের দায়ের করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ । এবং ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে। ধৃত টোটোচালককে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে এগোতে চায় পুলিশ (Hematabad Police)।

শুক্রবার বিকেলে টোটোচালক রঞ্জন রায় একটি পার্সেল দিয়ে আসে হেমতাবাদের বাহারাইল গ্রামে বাবলু চৌধুরীর ওষুধের দোকানে। পার্সেল খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে।  বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয় বাবলু চৌধুরী সহ তিনজন।  জখমদের নাম তপন রায়, বাবলু চৌধুরী, মহঃসফুর। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ রবিবার সকালে টোটোচালক রঞ্জন রায়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।  টোটোচালক রঞ্জন রায়ের বিরুদ্ধে  ২৮৬/৩৩৬ আইপিসি ধারা (286/336 IPC) এবং  ৩/৪ বিস্ফোরক দ্রব্য অ্য়াক্ট ( 3/4 Explosive Substense Act) ধারায় মামলা দায়ের করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। সোমবার ধৃত টোটো চালক রঞ্জন রায়কে রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হয়েছে। হেমতাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, ছেলেকে খুনের পর আত্মঘাতী প্রাক্তন মাওবাদী, পুরুলিয়ায় পুলিশ কোয়ার্টার থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার

 প্রসঙ্গত,  শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের বাহারাইল এলাকার এক ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরী নামে একটি পার্সেল এসে পৌছয় এক টোটোওয়ালা। একটি পার্সেল দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই  উধাও হয়ে যায় সেই টোটো চালক। পার্সেলটিতে তাঁর নাম ও ফোন নাম্বার লেখা ছিল বলে বাবলু চৌধুরী ওই পার্সেলটি নেন। এদিকে পার্সেলটি খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর জখম হয় চার জন। গুরুতর জখমদের নাম তপন রায়, বাবলু চৌধুরী, মহঃসফুর। এদের তিনজনের বাড়ি বারারাইল গ্রামে। গুরুতর জখম তিনজনকে রায়গঞ্জ গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর একজন হেমতাবাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ওই এলাকার ব্যবসায়ী সমিতি পক্ষ থেকে সমস্ত দোকানপাট বাজার বন্ধ করে রেখেছেন। 'যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি জানানোর পাশাপাশি দোষীদের যতক্ষন না গ্রেপ্তার করা হবে ততদিন এই এলাকায় কোনও দোকান বাজার খোলা হবে না', বলে জানান তাঁরা। যদিও তারপরেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে সেই টোটোওয়ালা। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এহেন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই রীতিমতো সতর্ক হয়ে গিয়েছে প্রশাসন।