সংক্ষিপ্ত
ধসের কারণে আবারও বিপর্যস্ত দার্জিলিং-এর টয় ট্রেন পরিষেবা। বন্ধ হয়ে গেছে সমতল আর পাহাড়ের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। পুজোর মুখে যা নতুন করে আক্ষেপ বাড়িয়ে পর্যটকদের। শুক্রবার তিনধারিয়া আর রংটং-এর মধ্যবর্তী এলাকায় ধস নামে। তারপর থেকেই থমকে গেছে টয় ট্রেনের চাকা।
ধসের কারণে আবারও বিপর্যস্ত দার্জিলিং-এর টয় ট্রেন পরিষেবা। বন্ধ হয়ে গেছে সমতল আর পাহাড়ের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। পুজোর মুখে যা নতুন করে আক্ষেপ বাড়িয়ে পর্যটকদের। শুক্রবার তিনধারিয়া আর রংটং-এর মধ্যবর্তী এলাকায় ধস নামে। তারপর থেকেই থমকে গেছে টয় ট্রেনের চাকা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ধস সরানোর কাজ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েক দিন সময়ে লেগে যাবে বলেও জানান হয়েছে হিমালয়ান রেলওয়ে করতৃপক্ষ। তবে পুজোর আগে যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায় তার চেষ্টা করে হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিকরা।
শুক্রবার রাতের পর শনিবার সকালেও দার্জিলিং-এর ১২ মাইল এলাকায় রংটং স্টেশনের কাছে একটি ধস নামে। তাতে রেল লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই খবর পাওয়ার পরেই দ্রুত ধস সরিয়ে রেল লাইন মেরামতির কাজ শুরু করেছে হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছিল। ১৭ মাইলের কাছে- তিনধারিয়া আর রংটং স্টেশনের কাছে । সেই সময়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল পরিষেবা। সেটি মারামতি চলাকালীন আবার নতুন করে ধস নামে। চলতি বছর সমতলের তুলনায় পাহাড়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও অন্যবারের তুলনায় বেশি বলে মনে করছেন আবহাওয়াবীদরা। স্থানীয়দের কথা মাটি আলগা হয়ে যাওয়াতেই ধস নামছে বারবার।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের অধিকার্তা একে মিশ্র জানিয়েছেন ১৭ মাইল এলাকায় কাজ চলছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ট্রেন চালু করার কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ট্রেন চালু করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। স্থানীয় রেল কর্মীরাও জানিয়েছেন পুজোর মুখে ধসের কারণে টয় ট্রন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক পর্যটকই হতাশ হচ্ছেন। তাঁদের কথায় এটা কাম্য নয়। কারণ দার্জিলিং-এর অন্যতম আকর্ষণ এখনও টয় ট্রেনই।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাবস আনুযায়ী সপ্তাহের শেষে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা হলেও বাড়বে । তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে। তবে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা ব্যাঘাত ঘটাতে পারে পুজোর বাজার থেকে শুরু করে পুজোর প্রস্তুতিতে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে রবিবার থেকেই বদলে যেতে পারে আবহাওয়া। বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হয়েছে নয়া ঘূর্ণাবর্ত। যার জেরে আগামী সপ্তাহের শুরুতে ফের নিম্নচাপের সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ে বৃষ্টি বাড়বে তাতে ধস সরানোর কাজ ব্যহত হতে পারে বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।