সংক্ষিপ্ত
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সকালে কয়েকটি পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কাঁথি শহরে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি ছাপা রয়েছে। আর তলায় আলতা দিয়ে লেখা রয়েছে. 'আমাকে ছুঁয়ো না।'
'আমি পুরুষ, তুমি আমার শরীর ছোঁবে না।' - নবান্ন অভিযানের দিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্য করেছিলেন রাজ্য পুলিশের মহিলা কর্মীদের লক্ষ্য করে। আর তার পর থেকেই বিজেপি নেতাকে তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা নিশানা করছেন তাঁর লিঙ্গ বা যৌনতা নিয়ে। এতদিন যা কলকাতায় দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সীমাবব্ধ ছিল এবার তাই ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সকালে কয়েকটি পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কাঁথি শহরে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি ছাপা রয়েছে। আর তলায় আলতা দিয়ে লেখা রয়েছে. 'আমাকে ছুঁয়ো না। আমি সমকামী, আমি উভলিঙ্গ। শুধুই চাই পুংলিঙ্গ।' পাশাপাশি শুভেন্দুর নবান্ন অভিযানের উক্তি 'ডোন্ট টাচ মি' লেখা পোস্টারও পড়েছে।
কাঁথি শহরে মহকুমা শাসক দপ্তর চত্বর, কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যাণ্ড, কাঁথি খড়গপুর বাইপাস, কাঁথি মেছেদা বাইপাস ও পদ্মপুকুরিয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় এই পোষ্টার লক্ষ্য করা যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি "শান্তিকুঞ্জ " ঘিরে চারপাশে পড়েছে এই পোষ্টার। অধিকারী পরিবারে কোন সদস্য বাড়ি থেকে বেরোলেই চোখে পড়বে এই পোষ্টারগুলি ।
কে বা কারা এই পোস্টা দিয়েছে তা অবশ্য লেখা হয়নি। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে যে টার্গেট করা হয়েছে তা স্পষ্ট। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্টরা এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সদস্যদদেরই দায়ী করেছেন। বিরোধীদল বিজেপির পক্ষ থেকে শাসক দলের চক্রান্ত বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
নবান্ন অভিযানের পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নম্বর টু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দুজনে কখনও সরাসরি কখনও আবার নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর যৌন সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেছেন। রাজ্য রাজনীতিক এর আগে কখনও ব্যক্তিগত আক্রমণ এই পর্যায়ে নেমে যায়নি। তবে শুভেন্দুর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অন্য ছবি দেখা গেল। অভিষেক থেকে কুণাল ঘোষের মত প্রথম সারির তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা তাঁরে 'পুরুষ পছন্দ করা নেতা' বা 'সমকামী নেতা' বলেও তোপ দেগেছেন। কুণাল ঘোষ শুন্দুর দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্যও শুভেন্দুর নাম না করে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
যাইহোক শুভেন্দুর রাজ্য়ের পুলিশ কর্মীদের নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নবান্ন অভিযানের পাঁচ দিন পরেও তা নিয়ে জল ঘোলা হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। সেখানে অনেকটাই ফিঁকে হয়ে যাচ্ছে বর্তমান রাজ্যের সমস্যাগুলি। তেমনই মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।