সংক্ষিপ্ত

এখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছোট বড় সকলকে বিজয়ার প্রণাম ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। কিন্তু বিজয়ার পুরনো নিয়ম আজও চালু রেখেছেন পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভা প্রাক্তন কাউন্সিলার মহেন্দ্র কুমার রুঙ্গটা।
 

মা দুর্গার (Maa Durga) নিরঞ্জনের(Immersion) পর থেকে শুরু হয় বিজয়া(Bijoya Dashami)। বিজয়ার এই নিয়ম চলতে থাকে সেই কালী পুজো পর্যন্ত। নিয়ম বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয় গুরুজনদের প্রণাম করে আশীর্বাদ(Blessings) নেওয়া। সাথে ছিল মিষ্টি(Sweet) সংগ্রহের আয়োজন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই সব লুপ্ত হতে বসেছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী ছোট বড় সকলকে বিজয়ার প্রণাম ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। কিন্তু বিজয়ার পুরনো সেই নিয়ম আজও চালু রেখেছেন পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভা প্রাক্তন কাউন্সিলার মহেন্দ্র কুমার রুঙ্গটা।

বিজয়া উপলক্ষে এক নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় এবং তার সাথে মিষ্টিমুখ করান ঝালদা পৌরসভার কাউন্সিলর মহেন্দ্র কুমার রুঙ্গটা। গত ৭বছর ধরে এইভাবেই টোটোয় করে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বড়দের প্রণাম, কোলাকুলি করে হাতে মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে বিজয়ার শুভেছা জানান মহেন্দ্র রুঙ্গটা।

২০১৫ সালে প্রথমবার ঝালদা পৌরসভার কাউন্সিলার নির্বাচিত হওয়ার পর বিজয়া দশমীতে প্রতিটি বাড়িতেই মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে গিয়ে বিজয়ার কর্মসূচি পালন করেন। খোঁজ নেন পুজো কেমন কাটলো। কোথাও কোন অসুবিধা হয়েছে কি না? এবছরও টোটোয় প্যাকেটবন্দি রসগোল্লা নিয়ে ১ নং ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে কোথাও বড়দের প্রণাম, কোথাও সমবয়স্কদের সঙ্গে কোলাকুলি করে হাতে মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানালেন তিনি। আর এভাবে গত ৭বছর ধরে বিজয়া দশমী পালন করে আসছেন ঝালদা পৌরসভার অন্যতম পরিচিত মুখ মহেন্দ্র কুমার রুঙ্গটা। 

বিষয়টি নিয়ে তিনি জানান।এই ডিজিট্যাল যুগে দিনটির সেরকম আর গুরুত্ব আর নেই। তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৭বছর ধরে ওয়ার্ডের সমস্ত বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে মিষ্টিমুখ করিয়ে আসছি। এই দিনটির উৎসাহ সেরকম চোখে পড়ে না, তাই এই দিনটি যাতে ওয়ার্ডবাসী মনে রাখে তাই এই উদ্যোগ। মহেন্দ্র রুঙ্গটার এই উদ্যোগে খুশি ঝালদা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।