সংক্ষিপ্ত
বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বিজেপি শহরগুলিতে ভালো ভোট পেয়েছে। বিশেষ করে বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ এবং জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা এলাকায় বিজেপি এগিয়ে রয়েছে।
একদিকে যখন রবিবার কলকাতা পৌরসভা নির্বাচন (Kolkata Municipal Election) ঘিরে দিনভর শাসক (TMC) বনাম বিরোধীর (BJP) দ্বৈরথে মেতে থাকল পুর নির্বাচন, ঠিক তখনই মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় বিধায়কদের (TMC MLA) মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করা হল। সাংবাদিক বৈঠক করে দায়িত্ব ভাগ করার মধ্যে দিয়েই মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব নতুন 'খেলা' র গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত
দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তাৎপর্যপূর্ণ এই পদক্ষেপে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সাংগঠনিক জেলার মধ্যে বহরমপুর, বেলডাঙা, মুর্শিদাবাদ, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা নির্বাচন রয়েছে। ভোট পরিচালনার জন্য জেলার বিধায়কদের প্রতিটি পুরসভায় আলাদা দায়িত্ব দেওয়া হবে। বাকিটা সময় কথা বলবে, এর বেশি এখন কিছু বলা যাবে না রাজনৈতিকভাবে"।
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সমস্ত বিধায়ক, ব্লক সভাপতি এবং জেলা নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও করেন সভানেত্রী। শাখা সংগঠনের নেতারাও আলোচনায় যোগ দেন। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওইদিন রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি তুলে ধরে মিছিল করা হবে। এদিনের বৈঠকে পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। বিধায়করা শহরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রচারের কাজ করবেন।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বিজেপি শহরগুলিতে ভালো ভোট পেয়েছে। বিশেষ করে বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ এবং জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা এলাকায় বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। তাই এই তিন শহরে কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে শাসকদল। যদিও নেতৃত্বের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির সংগঠন এই তিন শহরে দুর্বল হয়ে গিয়েছে। অনেক ওয়ার্ডে তারা লড়াই দেওয়ার ক্ষমতাও হারিয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের এই ভাবনাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়মিত মানুষের পাশে থেকে সরকারের প্রকল্পগুলির সঠিক রূপায়ন করে চলেছে দলীয় নেতৃত্ব। এবার কোথায় কি ভুল ত্রুটি আছে ,আবার নেতা কর্মীদের মধ্যে কোথাও কোনও রকম ফাঁক ফোঁকর আছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই ব্লক জুড়ে শুরু করে দেওয়া হয়েছে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন। কিরীটেশ্বরী অঞ্চলের প্রতিটি বুথ থেকে মোট দেড় হাজার কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্মীরা তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা যেমন তুলে ধরেন তেমনি ব্লক নেতৃত্ব সাধারন কর্মীদের কিছু বিধি নিষেধের কথা বলেন।
সেক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন,"বিজেপির একাধিক পৌর এলাকার ওয়ার্ডে যথেষ্ট ভালো সংগঠন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যদি সঠিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুযায়ী মানুষ তার ভোট দান করার সুযোগ পাই তাহলে তৃণমূল অনেক ক্ষেত্রেই পরাজিত হবে। অবশ্য এ রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে মানুষের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা দুষ্কর ব্যাপার।