সংক্ষিপ্ত
- বেড়াতে গিয়ে ফের দুর্ঘটনার কবলে পর্যটকরা
- পরিবারের সঙ্গে মায়াপুরে বেড়াতে গিয়েছিল দুই কিশোর
- স্নান করতে গিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে যায় দু'জনই
- সকলের অলক্ষ্যে নদীতে নেমেছিল তারা
সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, সঙ্গে নাগাড়ে বৃষ্টি। মায়াপুরে বেড়াতে গিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে গেল দুই কিশোর। পরিবারের সকলে যখন স্নান সেরে ঘাটে উঠে এসেছেন, তখন সকলের নজর এড়িয়ে ওই দুই কিশোর গঙ্গায় নেমেছিল বলে জানা গিয়েছে। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
একজনের নাম বিপিন ভগৎ, আর একজন সোনু ভগৎ। সম্পর্কে তারা তুতো ভাই। বাড়ি, আসানসোলের অন্ডালে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গাড়িতে চেপে নদিয়ার মায়াপুরে বেড়াতে এসেছিল বিপিন ও সোনু। সকালে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে মায়াপুরের গঙ্গায় স্নান করে গিয়েছিল তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সবার নজর এড়িয়ে কখনও যে ওই দুই কিশোর গঙ্গায় নেমে পড়েছে, তা প্রথমে বুঝতেই পারেননি কেউ। স্নান সেরে ফেরার পথে পরিবারের লোকেরা খেয়াল করেন, যে সোনু আর বিপিন নেই। গঙ্গার ঘাটে আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করেও ওই দুই কিশোর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তখনই বাড়ির লোকেরা বুঝতে পারেন, গঙ্গায় নেমে তলিয়ে গিয়েছে সোনু আর বিপিন। খবর দেওয়া হয় থানায়। এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। শেষ খবর অনুযায়ী, গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চলছে। তবে এখনও সোন বা বিপিন কারওই খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে বেড়াতে এসে এমন ঘটনায় দিশেহারা পরিবারের লোকেরা।
কাছে হোক কিংবা দুরে, পুজোর পরে ঘুরতে বেড়িয়ে পড়েছেন অনেকেই। ঘটছে দুর্ঘটনাও। দিন কয়েক আগে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পথে, গজলডোবায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তা ক্যানালে পড়ে যায় পর্যটকদের একটি গাড়ি। দুর্ঘটনার মারা যান মা ও মেয়ে। গুরুতর আহত হন পরিবারের আরও দুই সদস্য। তারও আগে কেরলে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় কবলে পড়েন পাঁচ বোন। পথ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে মারা যান তিনজন। গুরুতর আহত বাকি দু'জন এখনও কেরলের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডুয়ার্সের হোটেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বারাসতের এক ব্যক্তিও। তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন।