সংক্ষিপ্ত
গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে মাঠে নামতে দেখা যায় শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। একযোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে বিবাদমান দুই গোষ্ঠী রাজা রাজি ও আমানুল্লাহ লস্কর সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের কাছাকাছি নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়।
বাসন্তীতে তৃণমূলের কোন্দল মেটানোর মঞ্চে ফের ঝামেলা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর(Two groups of TMC) মধ্যে হাতাহাতি। একে অপরের দিকে বাঁশ নিয়ে হামলা। চেয়ার ছোড়াছুড়ি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার(Basanti police station of South 24 Parganas) কাঠালবেরিয়া এলাকায়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বনিবনার তীব্র অভাব রয়েছে বাসন্তীতে। শুধু অশান্তি নয়, বিবাদের জেরে এলাকায় বহুবার হয়েছে বোমাবাজিও। এমনকি বোমাবাজির ঘটনায় ঘটেছে মৃত্যুও। আর তারপর থেকেই গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে মাঠে নামতে দেখা যায় শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। একযোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে বিবাদমান দুই গোষ্ঠী রাজা রাজি ও আমানুল্লাহ লস্কর সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের কাছাকাছি নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়।
সূত্রের খবর, এদিন দলের দুপক্ষকে নিয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। দলের দুই গোষ্ঠীর নেতৃত্বরাও হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানস্থলে। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা, জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন মঞ্চে। প্রথমে সব ঠিকঠাক থাকলেও সভার কাজ এগোতেই দর্শক আসনের একপাশে শুরু হয় কথাকাটাকাটি। প্রথমে তা ঝগড়ার আকার নিলেই মূহূর্তেই বদলে যায় হাতাহাতিতে। বাঁশ, লাঠি নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। এদিকে দলীয় কর্মীদের ঐক্যের বার্তা দিতে মঞ্চে তখন বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের সামনেই তীব্র আকার ধারণ করে দু-পক্ষের সংঘর্ষ।
আরও পড়ুন-বসিরহাটে উত্তেজনা, অটো রুট উদ্বোধন করতে অটো চালকদেরই বিক্ষোভের মুখে তৃণমূলের শ্রমিক নেতা
ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অন্যদিকে বিবাদমান দুপক্ষকেই কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় দলীয় নেতৃত্বের তরফে। অশান্তি না থামালে তাদের বিরুদ্ধে দলগতভাবে এবং প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু তাতে বিশেষ কর্ণপাত করেননি তৃণমূল সমর্থকেরা। অকথ্য গালিগালাজ, লাথি, ঘুষিতেই সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা চত্বর। কিছুক্ষণের মধ্যে অবশ্য বাসন্তী থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে কিছু জানা যায়নি। এদিকে এই ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনায় যে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বও অস্বস্তিতে পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। শোরগোল পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। দলের দুই গোষ্ঠীর নেতৃত্বরা যেখানে হাজির সেখানে এই ঘটনা কী করে ঘটল তা ভেবেই অবাক হচ্ছেন সকলে। যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে বিশেষ প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি ঘাসফুল নেতাদের।