সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল
- এর পাল্টা রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় জবাব দেন মহুয়া
- রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ এনেছেন তিনি
- রাজভবনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আত্মীয়দের নিয়োগ করেছেন ধনখড়
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে টুইটও করেছিলেন তিনি। রবিবার সকালে ফের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি টুইট করেন। যার পাল্টা জবাব দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। রাজ্যপালকে 'আঙ্কেলজি' বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
রবিবার সকালে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রাজ্যপাল লেখেন, "রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক ৷ নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুতরভাবে আপোস করা হচ্ছে ৷ এই কঠিন সময়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে এবং ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আমাকে জানানোর জন্য সোমবার ৭ জুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠিয়েছি।"
এর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যপালকে একহাত নেন মহুয়া। পাল্টা টুইট করে তিনি লেখেন, "আঙ্কেলজি, পশ্চিমবঙ্গের 'উদ্বেগজনক পরিস্থিতির' একমাত্র উন্নতি তখনই হতে পারে যখন আপনি আপনার দুঃখিত মন নিয়ে দিল্লি ফিরে যান এবং সেখানে অন্য একটি চাকরি খুঁজে নেন।" এমনকী, কোন পদ তাঁর জন্য সঠিক হবে তাও বাতলে দিয়েছেন মহুয়া। এ বিষয়ে টুইটারে দুটি পদের উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রথম, সবচেয়ে ভালোভাবে কীভাবে বিরোধীদের আঘাত করতে হবে, সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর পরামর্শদাতা। দ্বিতীয়, অতিমারিতে কতটা সুচারুভাবে লুকিয়ে থাকা যায়, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শদাতা।
তবে শুধুমাত্র ওই একই টুইট করেই থামেননি মহুয়া। আরও একটি টুইটে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপালের ছ'জন আত্মীয়কে ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। টুইটারে স্বজনপোষণের অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তিনি রাজভবনের একাধিক কর্মীর নাম, পদমর্যাদা এবং রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁদের কি সম্পর্ক তা বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।