সংক্ষিপ্ত
- ভাটপাড়ায় গুলির আঘাতে মারা যান রমেন্দ্র সাউ নামক জনৈক ফুচকা বিক্রেতা
- প্রাণ যায় ধর্মেন্দ্র সাউ নামক অন্য এক যুবকেরও
- শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন
ভাটপাড়া অঞ্চলে নজিরবিহীন হিংসা ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনের। গত বৃহস্পতিবার ভাটপাড়ায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব ও পুলিশি ধরপাকড়ের মধ্যে গুলির আঘাতে মারা যান রমেন্দ্র সাউ নামক জনৈক ফুচকা বিক্রেতা। প্রাণ যায় ধর্মেন্দ্র সাউ নামক অন্য এক যুবকেরও। পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার গুরুত্ব বুঝেই আসরে নামেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাতারাতি সরানো হয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার তন্ময় চৌধুরীকে। তাঁর জায়গায় আসেন মনোজ বর্মা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে ৭২ ঘণ্টা সময়ও দিয়ে দেন সমস্যা মোকাবিলা করে শান্তি ফেরত আনার জন্যে। শুরু হয়ে যায় ধড়পাকড় তল্লাশি।
এদিন ডিসি জোন ওয়ান অজয় ঠাকুর ঘটনাস্থলে গেলে, এলাকার মহিলারা তাঁকে ঘিরে ধরে অভিযোগ জানান, স্থানীয় দুষ্কৃতীরা তাঁদের ভয় দেখাচ্ছে।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ঘণ্টা ৭২ ঘণ্টা সময় দিলেও, অপারেশনে নেমে, মাথা ঘুরে গিয়েছে পুলিশের। গত কাল রাত থেকে এ যাবৎ ১৯ জন গ্রেফতার হয়েছে। এলাকায় মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র। গুজব ও অমূলক উত্তেজনা ছড়ানো বন্ধ করতে গোটা অঞ্চলের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
এই ঘটনায় বিজেপির তরফে পুলিশকে করা দায়ী হয়েছে গোটা ঘটনায়। এদিন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা অর্জুন সিংহের নেতৃত্বে ব্যারাকপুর কমিশনারেট ঘেরাও করেন। ময়নাতদন্ত হয়ে গেলে দেহ নিয়ে শোভাযাত্রা করতে চায় বিজেপি কর্মীরা। আপাতত রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল তাঁরা। কাজেই ২৪ ঘণ্টা পার হলেও শান্তির কোনও ছবিই ধরা পড়ছে না ভাটপাড়া অঞ্চলে। ইতিমধ্যে রাজ্যপাল ভাটপাড়ার ঘটনাকে নিন্দাও করেছেন। প্রশাসনিক তৎপরতা ও সাধারণ মানুষের শুভবুদ্ধিতে আস্থা রাখছেন তিনি। কিন্তু শান্তি কি আদৌ ফিরবে ?