সংক্ষিপ্ত

সমস্ত নদীর জলস্তর বইছে বিপদসীমার উপরে। নদী পাড় ছাপিয়ে ঘাটালের গ্রামগঞ্জে জল ঢুকতে শুরু করেছে।

শাজাহান আলি, ঘাটাল : বেলা বাড়ার সাথে সাথে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে (Ghatal of West Midnapur) শিলাবতী, কেঠিয়া, ঝুমি সহ সমস্ত নদীর জলস্তর (water level of different rivers) বইছে বিপদসীমার উপরে(rising), নদী পাড় ছাপিয়ে ইতিমধ্যে গ্রামগঞ্জে জল ঢুকতে শুরু করেছে (flood situation worsens in Ghatal)। একটানা বৃষ্টির ফলে মাটি নরম হয়ে চন্দ্রকোনা ও ঘাটাল এলাকায় বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ঘাটাল মহকুমার বহুস্থানে পূজামণ্ডপ এখন জলের তলায়।

চন্দ্রকোনার বারুনিঘাট এলাকায় পুজো প্যান্ডেলে ঢুকেছে জল, স্তব্ধ হয়ে গেছে মন্ডপের কাজ। দুশ্চিন্তায় পড়েছে পুজো উদ্যোগতরা। পুজো মণ্ডপের ভেতরে বুক সমান জল।
 চন্দ্রকোনার বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও মনোহরপুর এলাকায় শিলাবতী নদীর বাঁধ নতুন করে ভাঙতে পারে বলে দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন এলাকার মানুষজন। নদী বাঁধ যাতে না ভেঙ্গে সেই জন্য গ্রামের মানুষ বাঁধে মাটি দিয়ে উঁচু করতে ব্যস্ত ছিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে।


 গ্রামবাসী

 দীর্ঘদিন ধরে জলমগ্ন ছিল ঘাটাল ব্লক ও ঘাটাল পৌর এলাকা সহ দাসপুরের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ স্থান। আবার নতুন করে এই সমস্ত এলাকা গুলি প্লাবিত হতে চলেছে বলে আশঙ্কায় স্থানীয়রা। এক কথায় সামনে পুজো আর পুজোর আগে যে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি এলাকাবাসীর পিছু ছাড়বে না সেটা নিশ্চিত ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দারা। 

 ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বৃহস্পতিবারও ঘাটালের ভেঙে যাওয়া বাড়ি গুলি পরিদর্শনে বেরিয়েছেন, এমনকি সব ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে পরিবার গুলিকে,এলাকার সকল মানুষকে সকলের পাশে থাকার জন্য বলেছে এই পরিস্থিতিতে। 

এদিন তিনি জানান সমস্ত দিকে নজর রাখছেন ব্লকের বিডিও থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সমস্ত পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।  তবে ইতিমধ্যে অনেক বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিতে। পুনরায় উদ্ধার কার্য শুরু হয়েছে ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন স্থানে।

"