সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে ফের উপনির্বাচন। মোট ৬ টি ওয়ার্ডে আগামী ২৬ জুন ভোট হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

রাজ্যে ফের উপনির্বাচন। মোট ৬ টি ওয়ার্ডে আগামী ২৬ জুন ভোট হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে চন্দননগর পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ড,  দমদম পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড,  ভাটপাড়া পুরসভার ৩ নং ওয়ার্ড, দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ২৯ নং ওয়ার্ড, ঝালদা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড এবং পানিহাটি পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ড। ২৬ জুন শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদের ভোট হবে। আর ওই দিনই রাজ্যের ৬ ওয়ার্ডে পুর নির্বাচন। এর মধ্যে ঝালদা এবং পানিহাটিতে উপনির্বাচন হবে। এবং বাকিগুলির নির্বাচন স্থগিত ছিল।

উল্লেখ্য, এই ৬ ওয়ার্ডের মধ্যে ঝালদা এবং পানিহাটিতে কাউন্সিলর খুন হন। ঝালদায় খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু এবং পানিহাটিতে খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। ফলে ওই দুই ওয়ার্ডে আসন ফাঁকা রয়েছে। অন্যদিকে  দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ২৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটা সমস্যা ছিল। সেই সমস্যার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় আদালত স্থগিত দেয়। পরে ওই মামলায় জয়ী হয় কমিশন। সেই মতো আবার ভোট প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এছাড়া বাকি তিন কেন্দ্র চন্দননগর পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ড, দমদম পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড, ভাটপাড়া পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডে ভোট ঘোষণা হওয়ার পর প্রার্থীর মৃত্যু হয়।সেই কারণে এই কেন্দ্রগুলিতে ভোট হবে।

আরও পড়ুন, এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা, সিবিআই তলবের মাঝে শীর্ষ আদালতে অস্বস্তির মুখে পার্থ

আরও পড়ুন, ফের গরুপাচার মামলায় তলব অনুব্রতকে, সিবিআই হাজিরা আজও কি এড়াবেন কেষ্ট

অপরদিকে, দীর্ঘ ৫ বছর পর ২৬ জুন ভোট হবে পাহাড়েও। জিটিএ নির্বাচন হতে চলেছে পাহাড়ে। মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে ইতিমধ্যেই দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, আগামী ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচন অনু্ঠিত হতে চলেছে। ভোট গণনা এবং ফলপ্রকাশ হবে ২৯ জুন। এই মর্মে ঘোষণা করলেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা, স্পেশাল অবজার্ভার। আগামী ২৭ মে সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। তবে নির্বাচন নিয়ে আপত্তি তুলেছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। স্পেশাল অবজার্ভার এজি বর্ধন জানিয়েছেন, আগামী ২৭ তারিখ সরকারিভাবে জিটিএ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে, শুরু হয়ে যাবে মনোনয়ন পর্ব।  প্রাথমিকভাবে পাহাড়ি দলগুলি রাজি হলেও পরে বিরোধীতা করেন বিমল গুরুং। আগে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই, তারপর জিটিএ নির্বাচন হবে বলে দাবি তোলেন। গতকালই অনশনের হুমকি দিয়েছিলেন তাঁরা। যথারীতি বুধবার সেই সিদ্ধান্তেই উপনীত হলেন বিমল গুরুং।

আরও পড়ুন, বঙ্গ বিজেপির সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দায়িত্ব দিলীপকেই, আজই বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক