সংক্ষিপ্ত

ফের রাজ্য কমিটির নের্তৃত্বে দিলীপ ঘোষ। চব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন মজবুত করতে দিলীপ ঘোষের হাতেই সংঘঠনের রাশ তুলে দিতে চায় কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব।

ফের রাজ্য কমিটির নের্তৃত্বে দিলীপ ঘোষ। চব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন মজবুত করতে দিলীপ ঘোষের হাতেই সংঘঠনের রাশ তুলে দিতে চায় কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব। সারা দেশ জুড়ে বুথ স্তরে সংগঠন মজবুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে  দল। বাংলার কথা ভেবে ৫ সদস্যের কোর কমিটিতে রাখা হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। বুধবারই এই কোর কমিটির প্রথম বৈঠক।দিলীপ ছাড়াও বৈঠকে থাকবেন সিটি রবির মতো নেতারা।বাংলায় একের পর এক বিজেপি সাংসদ বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।এদিকে নব্য-পুরোনো অন্দরের দলীয় কোন্দলে জর্জরিত বিজেপি। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্য সংগঠন চাঙ্গা করতেই দিলীপের হাতেই দায়িত্ব তুলে দিচ্ছে বিজেপি।

সূত্রের খবর, প্রত্যেক বিজেপি সাংসদকে ১০০ টি বুথের এবং বিধায়ককে ২৫ টি বুথের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাঁরা সেখানে বুথ স্তরে কাজ করবেন। এই বুথগুলি হল মূলত সেইগুলি, যেখানে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে জিতেছিল বিজেপি। কোথায় পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি, সেগুলিকে চিহ্নিত করা হবে। নের্তৃত্বের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতকে দল এতটাও পিছিয়ে নেই, যে আৎ এগোনো যাবে না। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮ জন সাংসদ পেয়েছিল বাংলা থেকে।তাঁদের মধ্যেই ২ জনন বিজেপি ছেড়েছেন।বাকি ১৬ জনের প্রত্যেককে ১০০ টি করে বুথের দায়িত্ব দেবে দল।

আরও পড়ুন, 'কে দলের আসল, কে নকল, এতদিনে চেনা গেল', এসএসসিকাণ্ডের পর মন্দিরে মাথা ঠেকালেন মন্ত্রী পরেশ

সূত্রের খবর, বৈঠকে মূলত বুথ গুলিকে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। নির্দিষ্ট কর্মসূচি, উপযুক্ত গাইড লাইন এবং রোড ম্যাপ তৈরি করেই গুছিয়ে নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব। সেক্ষেত্রে ভরসা রাখা হচ্ছে, দিলীপ ঘোষের উপরেই। কারণ তিনি বাংলার সংগঠনটা খুব ভাল করে চেনেন এবং বোঝেন। তাই দিলীপ ঘোষকেই এই গুরু দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মাঝে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা-বিধায়ক দল ছেড়ে চলে যায়। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়, দলেই অন্দরে। সরব হন অনুপম হাজরা থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁ। 

আরও পড়ুন, ২৬ জুন ভোট, গণনা-ফলপ্রকাশ কবে ? দীর্ঘ ৫ বছর পর নির্বাচন হতে চলেছে পাহাড়ে

অনুপমের বক্তব্য কেন এত জন নেতা একসঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন, তা রাজ্য বিজেপির বিশ্লেষণ করা উচিত।উল্লেখ্য, বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের পদ ছেড়েছেন গৌরিশঙ্কর ঘোষ । এবং পদ ছেড়েছেন দুই রাজ্য কমিটির সদস্যও। এমননকি সদ্য বিজেপি ত্যাগ করলেন অর্জুন সিংহ। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল বঙ্গ বিজেপিতে। বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, কেন এতগুলি ইস্তফা একসঙ্গে, সেটা রাজ্য বিজেপির খুব গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণ করা উচিত। আমি যতদূর জানি গৌরিশঙ্করবাবু একজন ভালো সংগঠক। যাদের এতদিন গুরুত্ব দেওয়া হল, তারা সব দল ছেড়ে চলে গিয়েছে। আর যারা এতদিন মাটি কামড়ে পড়ে ছিল, তাঁর ইস্তফা দিচ্ছেন।' এখানেই শেষ নয়, অনুপমকে সমর্থন জানিয়ে সম্প্রতি দিলীপ ঘোষকেও বলতে শোনা যায়, 'সুকান্তের অভিজ্ঞতা কম, সবে দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু ওনার জানা উচিত , যারা এতদিন আন্দোলন করেছেন, তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া জরুরী।' আর এবার সব দিক থেকেই সেই 'পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে' তত্ত্বই ফিরে এল বিজেপিতে।

আরও পড়ুন, আজও ঝড়-বৃষ্টিতে ভাসতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ ? কি খবর কলকাতার