সংক্ষিপ্ত
জলপাইগুড়িতে পাখি শিকার করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করল গরুমারা বনবিভাগ। আরও দুজন পলাতক খোঁজ চলছে, দাবি বনবিভাগের।
জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) পাখি শিকার করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করল গরুমারা বনবিভাগ। রবিবার রাতে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মণ্ডলঘাট এলাকা থেকে ১৭টি বিভিন্ন প্রজাতির মৃত পাখি সহ চারজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পাখি শিকার করার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। আরও দুজন পলাতক খোঁজ চলছে দাবি বনবিভাগের। সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে জানায় বনবিভাগ (West Bengal Forest Department) ।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন থেকে গ্রামেগঞ্জে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করে আসছিল শিকারীরা। অভিযোগ পেয়ে পাখি শিকারিদের খোঁজ শুরু করে বনবিভাগ। মণ্ডলঘাট এলাকায় পাখি শিকার করা হচ্ছে গোপনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনবিভাগের কর্মীরা। পাখি শিকার করার সময় হাতেনাতে ধরা পরে চারজন। দুজন পালিয়ে যায়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পাখি শিকার করার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। ধৃতরা সকলের যাযাবর। শিলিগুড়ি ঘাটি গেড়েছে, সেখান থেকে জলপাইগুড়ি এসে পাখি শিকার করত। 'নিজেরাও খেত এবং বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করা হত প্রাথমিক অনুমান বনবিভাগের', বলে জানালেন জলপাইগুড়ির গরুমারা বনবিভাগের অতিরিক্ত বনাধিকারী জন্মেজয় পাল।
আরও পড়ুন, Doctors on Wheel: দুয়ারে মিলতে চলেছে এবার 'ডক্টরস অন হুইলস' পরিষেবা, নয়া উদ্য়োগ অভিষেকের
প্রথমত ভারতে মোবাইলের টাওয়ার সহ নানা রেডিয়েশন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রায় গত ১৫ বছরের পাখির সংখ্যা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কারণ মোবাইলের টাওয়ার রীতিমত প্রভাব ফেলছে পাখিদের উপরে। এদিকে বর্তমানে এমনিতেই পাখির সংখ্যা কমে এসেছে। কমে গিয়েছে প্রজাতির সংখ্যাও। তার আরও একটা বড়ো কারণ জঙ্গল কেটে একের পর এক বাড়ি বানানো। স্বাভাবিকভাবেই খাবারের খোঁজ কমে যাচ্ছে। তাই কমছে পাখির সংখ্যাও। এহেন পরিস্থিতিতে তার উপর শিকারিদের উপদ্রবেও পক্ষীকূলের উপর বড়সড় প্রভাব পড়েছে। একে তো দেশি পাখি পাচার হয়ে যাচ্ছে। তার উপর যারা আছে, তাঁরাও খানিকটা ভয় পেয়েছে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শীতের সময় আগে সুদূর সাইবেরিয়া সহ নানা দেশ থেকে পরিযায়ী পাখিরা উড়ে আসত শহরে। কিন্তু গত কয়েক বছরে শীত পড়লেও সেই পাখির দেখা নেই। পাখি কমে যাওয়ার মূলে অনেকটাই তাই দায়ী দূষণ। এর পাশাপাশি বিভিন্ন গ্যাস বাতাসে মিশছে, তাই সার্বিক ভাবে পাখি এবং প্রাকৃতিক নানা সরীসৃপের সংখ্য়াই কমে আসছে। ইতিমধ্য়েই অনেকটাই বিলুপ্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। তাই আগের থেকে পর্যবেক্ষণও বাড়িয়েছে বন দফতর।