সংক্ষিপ্ত
ডায়মন্ডহারবারে এবার চালু হতে চলেছে ডক্টরস অন হুইলস পরিষেবা। মূলত, করোনা আক্রান্ত মানুষদের সুবিধার্থেই মঙ্গলবার থেকেই এই পরিষেবা শুরু হতে চলেছে।
ডায়মন্ডহারবারে ( Diamond harbour loksabha Constiuency) এবার চালু হতে চলেছে ডক্টরস অন হুইলস পরিষেবা। দুয়ারে আসবে এবার চিকিৎসক দল, নিজের ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে আগেই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় (TMC MP Abhishek Banerjee । মূলত, করোনা আক্রান্ত (Covid Positive) মানুষদের সুবিধার্থেই এই পরিষেবা। আর এবার মঙ্গলবার থেকেই সেই পরিষেবা শুরু হতে চলেছে।
প্রথমদিন ঠাকুরপুকুরের আশুতি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত, মহেশতলার মাতৃসদন এবং বজবজ এক নম্বর ব্লকে কোভিড আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য ভ্রাম্যমান গাড়িতে পৌছে যাবেন চিকিৎসকরা।জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ডক্টরস অন হুইল পরিষেবার মাধ্যমে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এলাকার বাড়ির কাছে পৌছবেন চিকিৎসকরা।প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভ্রাম্যমান গাড়িতে সংক্রমিত এলাকায় পৌছে যাবেন চিকিৎসকরা। জেলা প্রশাসন এবং চিকিৎসকদের সংগঠন প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিওয়ার সহযোগিতায় এই প্রকল্প শুরু হবে। জেলা জুড়ে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২৬ জন চিকিৎসক কাজ করবেন। মঙ্গলবার দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার ডক্টরস অন হুইলস পরিষেবা চালু করা হবে। আগামী দিনেও জেলার সংক্রমিত এলাকায় ঘুরবে ওই গাড়ি। জেলা শাসক পি উলগানাথন বলেছেন যে, সংসদের নির্দেশ মতো ডক্টরস অন হুইলস চালু করতে চলেছি আমরা। এখন থেকে ভ্রাম্যমান গাড়িতে চড়ে সংক্রমিত এলাকায় চলে যাবেন চিকিৎসকরা।
ডক্টরস অন হুইলস কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে বাড়তি নজরদারি, বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারদের মধ্য দুটি করে মাস্ক বাধ্যতামূলক। বাড়তি কোরনা পরীক্ষা, জমায়েত, মিটিং-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা।দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ডায়মন্ডহারবার। রাজ্যের মধ্যে পথ দেখাচ্ছে অভিষেকের এই ডায়মন্ডহারবার মডেল বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের।এই মডেলের প্রশাংস পঞ্চমুখ তৃণমূলের সদস্য থেকে শুরু করে চিকিৎসকেরাও। মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ শান্তনু সেন, মৌসম বেনজির নূর, মন্ত্রী তাপস রায় , ঋতব্রত বন্দ্য়োপাধ্য়ায় টুইট করে ডায়মন্ডহারবার মডেলের প্রশংসা করেছেন।
উল্লেখ্য়, যুবদিবসে ডায়মন্ড হারবারের লোকসভা কেন্দ্রে কোভিড মোকাবিলায় টার্গেট বেধে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বজবজ, মহেশতলা এবং মেটিয়াবুরুজ এলাকায় দিনভর ৩০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। স্বামী বিবেকান্দের জন্ম দিবসে সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেওয়া করোনা পরীক্ষার টার্গেটকেও ছাপিয়ে যায়। ডায়মন্ডহারবার এলাকায় মোট ৫৩ হাজার ২০৩ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। যা এখনও অবধি রাজ্য়ে মধ্যে রেকর্ড।এর আগে সাংসদের উদ্যোগেই ব্লকে, পঞ্চায়েতে, পুরসভায় খোলা হয়েছিল কন্ট্রোল রুম। ভিড় এড়াতে বাজারও সপ্তাহে পর পর দুই দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংসদের নির্দেশ মেনেই প্রতিটি ব্লকে মাস টেস্টিং চালু করা হয়েছে। সেলফ কিট ব্যবহারের উপরেও জোর দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়।