সংক্ষিপ্ত

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। এবং ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি জাকির হুসেনের বাড়ি থেকেই প্রার্থী হাজী মুজাফ্ফর হুসেনকে নিয়ে বিজয় মিছিল বের করে দলের কর্মী-সমর্থকরা।

ইসলামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হল ইসলামপুর পৌরসভার (Islampur Municipality) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী (TMC Candidate) হাজী মুজাফ্ফর হুসেনের। ইসলামপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সাউ তিনি আজ ইসলামপুর মহকুমা শাসক দফতরের এসে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তৃণমূলের। ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। এবং ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি জাকির হুসেনের বাড়ি থেকেই প্রার্থী হাজী মুজাফ্ফর হুসেনকে নিয়ে বিজয় মিছিল বের করে দলের কর্মী-সমর্থকরা। এবং জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বাসভবনে পৌঁছানোর পর তা উৎসবে পরিণত হয়। হাজী মুজাফ্ফর হুসেনকে মিলিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। 

আরও পড়ুন- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বজবজ, সাইথিয়ার পর এবার দিনহাটাতে জয় তৃণমূলের, সবুজ আবিরে মাতল কর্মীরা

অন্যদিকে এবিষয়ে বিজেপির প্রার্থী রাহুল সাউ ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেননি। তবে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করানো হয়েছে অভিযোগ বিজেপির। বিজেপির সহ সভাপতি সুরজিৎ সেনের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থীকে ব্যবসা করতে বাধা দেওয়া হত। তাই তিনি ভয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন।

আরও পড়ুন- জামুড়িয়ায় সিপিএম প্রার্থীকে 'ভয়' দেখাতে গুলি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

তবে শুধুমাত্র ইসলামপুরই নয়। রাজ্যের বেশ কয়কটি পৌরসভাতেও জয় পেয়েছে তৃণমূল। এর আগে বজবজ, সাইথিয়া ও দিনহাটা পুরসভা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করে নেয় তৃণমূল। দিনহাটা পুরসভার ১৬ আসনের ৭ আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথমে ৫ টি এবং পরে বাকি ওয়ার্ডগুলিও একের পর এক বিরোধী শূন্য হতে থাকে। এভাবেই সেই পৌরসভাটি তৃণমূলের দখলে চলে যায়।

আরও পড়ুন- পুরভোটের দিনেই রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত পৌঁছল চরমে, দেখুন ব্লক বিতর্ক থেকে বিধানসভা 

এর আগে বজবজ বিধানসভার আটটি ওয়ার্ডে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। এদের মধ্যে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল ৮ টিতে, বিজেপির পক্ষ থেকে দুটি এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তিনটি ওয়ার্ডে মোট ১২ টি প্রার্থী আটটি ওয়ার্ডে দিতে পেরেছিল। সেই কারণে বজবজ পুরসভার কুড়ি টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২ টি ওয়ার্ডই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। বজবজ বিধানসভার অবজারভার জাহাঙ্গীর খান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, "বাকি যে আটটিতে প্রতিদ্বন্দিতা চলছে তারাও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হয়ে প্রার্থীপদ তুলে নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।" পাশাপাশি বজবজ বিধানসভার বিধায়ক সাংবাদিকদেরকে জানান, "বিজেপি বা বিরোধীরা যাই বলুক, আসল কথা হল তারা প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজেই পাইনি। আগামী দিনেও আমরা সবাইকে নিয়েই উন্নয়নের শামিল হবো এটা আমাদের বিশ্বাস।"