সংক্ষিপ্ত

সোমবারই পশ্চিমবঙ্গের ১০৪ পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম জানাবে তৃণমূল  কংগ্রেস (TMC)। নামের তালিকা ক্রসচেক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

পশ্চিমবঙ্গের পুরভোটে (WB Municipal Election 2022) বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শেষ ১০৮টি পুরসভা নির্বাচনে, ১০৪ টি পুরসভাই দখল করেছে রাজ্যের শাসক দল। এখন প্রশ্ন সেইসব পুরসভায় কারা হবেন, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান? তা জানতে আরও দুটো দিন অপেক্ষা করতে হবে। শুক্রবার, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, আপাতত তিনি বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা তিনি খুঁটিয়ে দেখছেন। ক্রস চেকও করেছেন। দু'চারটে নাম বদলও করেছেন। সোমবারই সম্ভবত প্রত্যেকটি পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হবে। 

প্রথমে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation), তারপর গত ফেব্রুয়ারি মাসে, প্রথমে ভোট হয়েছিল চার পুরনিগমের - শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল ও চন্দননগর। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই বিপুল সাফল্য পেয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। তারপর, রাজ্যের বাকি ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনেও জয়জয়কার হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। ৩টি পুরসভার ফল ত্রিশঙ্কু হয়েছে, এছাড়া একটি পুরসভায় জয় পেয়েছে বামেরা (Left Front), আরেকটি জিতেছে অন্যন্যরা। বাকি ১০৪টি পুরসভাতেই ফুটেছে জোড়া ফুল। 

শিলিগুড়ি পুরনিগমে, এবারই প্রথম এককভাবে বোর্ড গড়েছে তৃণমূল। ভোটের ফল ঘোষণার দিনই এই পুরনিগমের মেয়র হিসেবে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের (Gautam Dev)নাম ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে দলের কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকে ঠিক হয়েছিল বাকি ৩ পুরসভার পদাধিকারীদের নাম। বিধাননগরের মেয়র বেছে নেওয়া হয় কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে (Krishna Chakraborty)। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান যথাক্রমে সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta) ও অনিতা মন্ডল। আসানসোল পৌরসভার নয়া মেয়র হয়েছেন বিমান উপাধ্যায়। এখানে আবার ডেপুটি মেয়র করা হয়েছে ২ জনকে - ওয়াসিমূল হক এবং ঘটককে। আর চেয়ারম্যান হয়েছেন অমরনাথ চট্টোপাধ্য়ায়। চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী। 

এবার, বাকি পুরসভাগুলির পালা। পুর নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা বাছাই নিয়ে, ইতিমধ্য়েই রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের পালা চলেছে। প্রথমে দলীয় ওয়েবসাইটে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়, পরে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) আরও একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলেন, যেটি নেত্রীর বেছে নেওয়া এবং চূড়ান্ত বলে জানানো হয়। তারপরও বিক্ষুব্ধ অনেকেই, নির্দল প্রার্থী হিসাবে দলের বিরুদ্ধেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। পদাধিকারী বাছাই নিয়ে আবার একই যাতে একইরকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে না পড়তে হয়, সেই কারণেই সম্ভবত এই বিষয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।