সংক্ষিপ্ত
- অস্বস্তি নিয়ে নেমে স্বস্তির আশ্বাস
- বসিরহাটে সিএএ প্রচারে আশঙ্কা কমল বিজেপির
- রবিবার সিএএ নিয়ে প্রচারে নামেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য
- প্রচারপত্র বিলি আগেই আমরা মোদী সরকারকে চাই বলে পরিবার
অস্বস্তি নিয়ে নেমে স্বস্তির আশ্বাস। বসিরহাটে নাগরিকত্ব আইনের প্রচারে নেমে কিছুটা হলেও আশঙ্কা কমল বিজেপির। রবিবার সিএএ নিয়ে প্রচারে নামেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। প্রচারপত্র বিলি করার আগেই পরিবারের সদস্যরা বলে বসেন, 'আমরা মোদী সরকারকে চাই। আপনারা যা ভালো বোঝেন তাই করুন'।
রাজ্য়ে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক চিত্র বলছে, সিএএ নিয়ে নিজেদের পাালে টানতে সমর্থ হয়েছে তৃণমূল। বঙ্গের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সত্ত্বেও নিত্য়দিন মিছিলে বিশাল জনসমাবেশ করতে পেরেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। যা দেখিয়ে সিএএ নিয়ে দিল্লিকে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যা নিয়ে আশঙ্কায় ছিল বিজেপি। ঘরে ঘরে প্রচারে গেলে বিরোধিতায় পড়তে হবে না তো, এই চিন্তা গ্রাস করেছিল মুরলীধর স্ট্রিটকে। কিন্তু দেখা গেল, বাস্তবে উল্টো কাহন গাইছে বসিরহাট।
এদিন সিএএ নিয়ে বাড়ি বাড়ি বোঝাতে গেলে শমীক ভট্টাচার্যকে সমর্থন করে বহু মানুষ। যার মধ্য়ে একটি পরিবার বলেই বসে, 'আমরা মোদী সরকারকে চাই। আমাদের বোঝানোর প্রয়োজন নেই। আপনারা যা বোঝেন তাই করুন। আমরা মোদীকে ভরসা করে ভোট দিয়েছি। ' প্রথমে কথা শুনে হকচকিয়ে গেলেও পরে সিএএ নিয়ে বোঝাতে শুরু করেন গেরুয়া ব্রিগেডের এই যুক্তিবাদী নেতা।
এদিন বসিরহাট মহকুমার শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রচার শুরু করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য । বসিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের টাউন হল দাসপাড়ায় বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে সচেতন করেন তিনি। সিএএ কী খাতায়-কলমে বিলের কপি দিয়ে মানুষকে বোঝান। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে শমীকবাবু বলেন, তৃণমূল সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তবে এখনই এনআরসি নিয়ে ভাবছে না কেউ। ভবিষ্য়তে প্রয়োজন পড়লে কেন্দ্রীয় সরকার বা সুপ্রিম কোর্ট এনআরসি করবে।