সংক্ষিপ্ত
নজিরবিহীনভাবে ৮ দফায় বাংলার বিধানসভা নির্বাচন
পশ্চিমবঙ্গে নিরাপত্তা জনিত উদ্বেগ রয়েছে
আছে কোভিড-১৯ মহামারির ভয়ও
এই দুইয়ের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন
একে কোভিড মহামারি, তার সঙ্গে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের বন্যা - এই দুই কারণেই এইবারের বাংলার বিধানসভা ভোট অনেক দিক থেকেই অভিনব। শুক্রবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবন থেকে ৫ রাজ্যের নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করলেন ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
বাংলা ছাড়া অসমে ভোট হচ্ছে ৩ দফায়। এছাড়া তামিলনাড়ু কেরল এবং পুদুচেরিতে ১ দফাতেই ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গেও এর আগে কখনও ৫ দফায় ভোট হয়নি। বাংলায় ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল ৭ দফায়। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ৬ দফায়। কিন্তু ৮ দফা ভোট একেবারে অভূতপূর্ব।
এছাড়া, এবার বেনজিরভাবে বাংলার নির্বাচনে মোট ৪ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ প্রশাসনিক পর্যবেক্ষক করা হয়েছে অবসসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার অজয় নায়েক-কে। বিহারের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছিলেন তিনি। এছাড়া নজিরবিহীনভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে দুইজন পুলিশ পর্যবেক্ষককে। এঁরা হলেন বিবেক দুবে, এর আগে লোকসভায় পুলিশ পর্যবেক্ষক ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশে। অপরজন মৃণাল দাস, ইনি লোকসভায় ছিলেন ত্রিপুরার পুলিশ পর্যবেক্ষক। দুই আইপিএস অফিসারই বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। আর আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন বি মুরলি কুমার।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও জানিয়েছেন, স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্রগুলিকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং সেইমতো সেইসব এলাকায় বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু, তাই নয় ইতিমধ্যেই অনেকগুলি জায়গায় ব়্যুটমার্চ করা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তবে তাঁর দাবি, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, নির্বাচন আসন্ন এমন ৫টি রাজ্যেই আগেভাগে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। তাই এই সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তি নেই।
কোভিড-১৯ মহামারি সংক্রমণ রুখতে ৩১.৬৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বুথের সংখ্যা। ২০১৬ সালে যেখানে ৭৭,৪১৩ টি বুথ ছিল, সেখানে এইবার বুথের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,০১,৯১৬ টি। ভোট গ্রহণের সময় ১ ঘন্টা বাড়ানো হয়েছে।এছাড়া অ্যাবসেন্টি ভোটিং ব্যবস্থা এবং ভোটকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে ৮০-ঊর্ধ্ব ব্যক্তিবর্গের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়া প্রচার পর্বের জন্যও পৃথক নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে ২ জনের বেশি ব্যক্তিকে সরকারি কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কার্যালয় চত্ত্বরে প্রার্থী গাড়িও আনতে পারবেন মাত্র ২টি। জনসভা করতে হবে বড় মাপের মাঠে। দরজায় দরজায় প্রচারে যেতে পারবেন সর্বোচ্চ ৫ জন। এছাড়া প্রত্যেক ভোটকর্মীকে কোভিডের টিকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সুনীল অরোরা।