সংক্ষিপ্ত
৩০০ জন শিক্ষককে নোটিশ পাঠাল রাজ্য সরকারের নির্দেশে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চেয়েছে।
রাজ্যের নির্দেশ অমান্য করা অভিযোগ। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের (WBBSE) ৩০০ জন শিক্ষককে নোটিশ পাঠাল রাজ্য সরকার। গত ১০ মার্চ ডিএ বা মহার্ঘ্যভাতার দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল রাজ্য সরকারের কয়েকটি কর্মী সংগঠন। কিন্তু সরকারি নির্দেশ ছিল যে কোনও পরিস্থিতিতে কাজে যোগ দিতে। কিন্তু কাজে যোগ না দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই বিজোড় সংখ্যা ৩০০ জনকে নোটিশ পাঠিয়ে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অমান্য করে কেন তারা অনুপস্থিত ছিল তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
বুধবার WBBSE -এর এক আধিকারিক জানিয়েছে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাজের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। WBBSE সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় পিটিআইকে বলেছেন, বোর্ড শুধুমাত্র এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সুপারিশ অনুসরণ করেছে। তিনি বলেছে, 'আমরা ১০ মার্চ শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের উপস্থিতি সম্পর্কে জেলা পরিদর্শক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের রিপোর্ট দেখেছি। রাজ্য সচিবালয়ে নির্দেশ বাস্তবায়ের করেছে।' তবে কতজন শিক্ষককে নোটিশ পাঠান হয়েছে তার কোনও উল্লেখ তিনি করেননি। WBBSEএর এক আধিকারিক , যিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন ইতিমধ্যেই ৩০০ জনকে নোটিশ পাঠান হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের হারে রাজ্য সরকারকেও ডিএ বা মহার্ঘ্যভাতা দিতে হবে। এই দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। রাজ্য সরকারি কর্মদের ১৮টি সংগঠন যৌথ অনশন মঞ্চ তৈরি করে ধর্নায় বসেছে। রিলে অনশনয়ও করেছে। রাজ্য সরকারের থেকে ডিএ আদায়ের জন্য ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার কর্মীদের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করেছিল। কিন্তু ডিএর দাবিতে অনড় সরকারি কর্মীদের অনেকেই রাজ্য সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে কাজে যোগ দিয়েছিল। তাদের মধ্যে থেকেই ৩০০ জন শিক্ষককে নোটিশ পাঠান হয়েছে।
সম্প্রতি ডিএ নিয়ে যে আন্দোলন চলছে সেখানে যোগ দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকাও। তারা ডিএর পাশাপাশি রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিত নিয়েও সরব হচ্ছেন। তাঁদের দাবি অবিলম্বে স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা অবলম্বন করছে না বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতির কারণে অনেকেই কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারাতে বসেছেন। যদিও তাদের হয়ে সম্প্রতি সওয়াল করেছেন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিশানা করে বলেছেন, এভাবে কথায় কথায় চাকরি খাওয়া ঠিক নয়। যাদের চাকরি চলে যাচ্ছে তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। আর নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত যাদের নাম জড়িয়েছে তাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। যা শাসক দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।