সংক্ষিপ্ত

স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে দিন কাটাতেন তিনি! নিভে গেল কাস্তে হাতুড়ির জ্বলজ্বলে এক তারা, প্রয়াত বাম আমলের বীর সেনাপতি, কেমন ছিল তাঁর রাজনৈতিক জীবন?

হঠাৎ নিভে গেল বাম আমলের জ্বলজ্বলে নক্ষত্র। দলের অন্দরে আজ কঠিন লড়াই। কিন্তু এই দলই একদিন শাখা প্রশাখা মিলে দাড়িয়েছিল একাই নিরঙ্কুশ ভাবে। গলিতে, গলিতে। পাড়ায়, পাড়ায় তাঁর ভক্ত। তিনি যেন শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন ছিলেন আবেগ।

তাঁর বহু ভাষণ আজও ভাইরাল হয়ে যায় সমাজ মাধ্যমে। আগুন জ্বালিয়ে দেয় নবীনদের মনেও। আজও তাঁর বহু কথা নতুন প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। প্রতিটা শব্দে যেন ছিল তলোয়ারের মতো ধার।

টানা ১১ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু জীবন ছিল ভীষণ সাদা মাটা। সারা জীবন দুই কামরার ঘরে থেকেছেন। ঘর ছিল স্যাঁতস্যাঁতে। শ্বাসকষ্ট হওয়ায় সেই ঘর ছাড়তে বলেছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু শেষদিন পর্যন্ত সেই ঘরেই বসবাস করতেন একটা যুগের বাম আমলের নায়ক।

বাম আমলের সেনাপতি ছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের উত্তাল খাদ্য আন্দোলনের পাশাপাশি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে যোগদান করেছিলেন।

১৯৭৭ সালে তিনি কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন কিন্তু ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের প্রফুল্ল কান্তি ঘোষ এর কাছে ৭৮২ ভোট পরাজিত হন। ১৯৮৭ সালে তিনি তার নির্বাচনী কেন্দ্র পরিবর্তন করে যাদবপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই কেন্দ্র থেকে তিনি টানা ৫ বার জয়ী হন। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি এই কেন্দ্র থেকেই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মণীশ গুপ্তের কাছে পরাজিত হন।

১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মন্ত্রিসভায় তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে এই দফতর তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ নামে পরিচিত হয়।

১৯৮৭-৯৬ সালে  ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, স্থানীয় শাসন, পৌর ও নগরোন্নয়ন বিভাগ

১৯৯১-৯৩ সালে ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পুর ও নগর উন্নয়ন বিভাগ (অগ্নি নির্বাপণ পরিষেবা বাদে) ১৯৯৪ : ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ ১৯৯৬ : ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র (আরক্ষা) বিভাগ, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ

১৯৯৯ : উপ-মুখ্যমন্ত্রী নভেম্বর ৬, ২০০০ : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন

মে ১৮, ২০০১ সালে ত্রয়োদশ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন

মে ১৮, ২০০৬  সালে চতুর্দশ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন

মে ১৯, ২০১১ সালে পঞ্চদশ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন।