সংক্ষিপ্ত

সোমবারই কর্মসিমিতির বৈঠকের পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানিয়ে দেয় চলতি বছর পৌষমেলা আয়োজন করা যাবে না।

 

পৌষমেলা করতেই হবে। আর সেই কারণে উত্তাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আন্দোলন, বিক্ষোভ, আর প্রতিবাদে উত্তাল শান্তিনিকেতন। আন্দোলনে সামিল হয়েছে, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ, বোলপুরের ব্যবসায়ী সমিতি ও হস্তশিল্প সমিতির সদস্যরা। বলাকা গেটে নিরাপত্তারক্ষীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। অন্যদিকে সেন্ট্রাল অফিসের সামনে লাগাতার বিক্ষোভ চলে। শান্তিনিকেতনের কেন্দ্রীয় কার্যলয়ের গেটের তালা ভেঙে বিক্ষোভ দেখায় বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি। পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি লেখা হোর্ডিং নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা।

সোমবারই কর্মসিমিতির বৈঠকের পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানিয়ে দেয় চলতি বছর পৌষমেলা আয়োজন করা যাবে না। কারণ হিসেবে জানিয়ে দেওয়া হয়, সময়ের অভাব ও অনলাইন সংক্রান্ত কাজের জটিলতার কারণে পৌষমেলা আয়োজন করা হচ্ছে না। কিন্তু তাতে বেঁকে বসে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তাদের দাবি ছোট আকারে মেলা করা সম্ভব নয়। আর তারপর থেকেই এই নিয়ে জটিলতা শুরু হয়ে যায়।

পৌষমেলা আয়োজনের দায়িত্ব মূলত ট্রাস্টের হাতে থাকে। তত্ত্বাবধানে থাকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুই পক্ষের সমস্যার কারণেই চলতি বছর পৌষমেলা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। এতে বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ীরা। তারা এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা ভেঙে জোর করে প্রবেশ করেন। স্লোগানও তোলেন। তাদের দাবি শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠেই পৌষমেলার আয়োজন করতেই হবে।

সোমবার কর্মসমিতির দীর্ঘ বৈঠকের পর এই খবর জানিয়ে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। একটি যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ছোট করেও ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। জেনে রাখা ভালো যে বিশ্বভারতীর পৌষ মেলা আয়োজন করা হয় বিশ্বভারতীর শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফে। তবে মেলার তত্ত্বাবধানে থাকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সেক্ষেত্রে পৌষ মেলা করতে হলে দুপক্ষের মধ্যেই সামঞ্জস্য থাকা জরুরি। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন ২০১৯ সালে শেষ বার পূর্বপল্লি মাঠে হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। সে বছর পরিবেশ আদালতের দূষণবিধি না মানায় জরিমানা হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। এর পর থেকে পৌষমেলাই বন্ধ করে দেন তৎকালীন উপাচার্য।