সংক্ষিপ্ত

মোট ১৯টি কলেজে বাংলা স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ান হয়। এপ্রিল মাসে পরীক্ষা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর যে ১২০টি খাতা পাওয়া যাচ্ছে না সেগুলির অধিকাংশই দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি কলেজের।

 

উত্তরপত্রই হরিয়ে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যাল থেকে। তাও একটা বা দুটো নয় - শতাধিক। বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ১২০ জন পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র হরিয়ে ফেলল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। যার জেরে প্রশ্নের মুখে পড়ে গল ১২০ জন পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্তৃপক্ষ কোনও কিছুই বলতে নারাজ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, মোট ১৯টি কলেজে বাংলা স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ান হয়। এপ্রিল মাসে পরীক্ষা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর যে ১২০টি খাতা পাওয়া যাচ্ছে না সেগুলির অধিকাংশই দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি কলেজের। কলকাতার দুটি কলেজের পড়ুয়ারও রয়েছেন এই তালিকায়। প্রত্যেকেই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যাল সূত্রের খবর উত্তরপত্র হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সিন্ডিকেটের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে যাদের উত্তরপত্র হারিয়ে গেছে তাদের দুটি বিকল্প দেওয়া হবেষ প্রথম বিকল্প তারা যদি চান নতুন করে পরীক্ষা দিতে পারেন। তা যদি না চান তাহলে প্রথম সেমিস্টারে যে বিষয়ে সবথেকে বেশি নম্বর পাবেন সেটি বাংলার হারিয়া যাওয়া খাতার নম্বর হিসেবে গণ্য হবে। যদিও এই সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত উপাচার্যের অনুমোদন পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যায় সূত্রে খবর এই বিষয় নিয়ে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আক্রমণ করেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কথায় রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়ে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ব্যবস্থা। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয় বিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষ কিছুই জানায়নি। কিন্তু সূত্রের খবর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। পডুয়াদের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে কর্তৃপক্ষ। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।