সংক্ষিপ্ত

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা স্কুল চলাকালীন এই কাজেই ব্যস্ত থাকছে বেশি। রাজ্যে বিভিন্ন স্কুল থেকে এই একই অভিযোগ আসার কারণে শিক্ষা দপ্তর নড়ে চড়ে বসেছে। বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করা হবে শীঘ্রই।

শিক্ষক-শিক্ষিকারা শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করায় তা কিন্তু নয়, তাদের নানা রকম অফিসিয়াল এবং একাডেমিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়। যার জন্য বিভিন্ন রকম অফিসেও তাদের ছোটাছুটি করতে হয় প্রায় দিন। শিক্ষক শিক্ষিকারা যদি সঠিকভাবে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের গড়ে তুলতে পারে এবং সঠিক শিক্ষা দিতে পারে তাহলে সমাজ উন্নত হবে। ভালোভাবে পড়াশোনা করিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতে উজ্জ্বল করায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রধান কাজ কিন্তু আদৌ কতটা হচ্ছে এই কাজ? বাস্তবের চিত্রটা কিন্তু অন্য গল্প বলছে।

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা স্কুল চলাকালীন এই কাজেই ব্যস্ত থাকছে বেশি। রাজ্যে বিভিন্ন স্কুল থেকে এই একই অভিযোগ আসার কারণে শিক্ষা দপ্তর নড়ে চড়ে বসেছে। বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করা হবে শীঘ্রই।

বলা হচ্ছে এবার থেকে যে কোন সরকারি নির্দেশ, নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ ছাড়া শিক্ষক শিক্ষিকারা যদি ছুটি নেয় তাহলে প্রধান শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকা অথবা কার্যকরী সমিতির কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষিকার কাছে প্রত্যেক মাসে ঐ শিক্ষক কিংবা শিক্ষক কর্মীর ওই কারণ সংক্রান্ত তথ্য স্যালারি লিকুইজশন স্লিপ এর সঙ্গে জমা দিতে হবে।

ইতিমধ্যে একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে এ বিষয়ে চিঠি চলে গেছে। তাদের প্রধান কাজ স্কুল চলাকালীন ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করানো অন্যান্য অফিসিয়াল কাজের জন্য স্কুলের সময়টা যথোপযুক্ত নয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য জেলা পরিদর্শকের নেতৃত্বে ছোট ছোট দল গঠন করে এই নজরদারি চালানো হবে। আগের থেকে অনেক বেশি সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।