সংক্ষিপ্ত

শান্তনুকে মতুয়া মহাসংঘের পাঠানো আগের নোটিশও খারিজ করেছে হাই কোর্ট। বলা হয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে নতুন করে নোটিশ পাঠাতে হবে। তিন দিন তথা ৭২ ঘণ্টা আগে সেই নোটিশ পাঠাতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড় জয় পেলেন এই বিজেপি প্রার্থী। কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে নির্বাচনের আগেই এল সাফল্য। কী ঘটেছে ঠিক ঘটনাটা, জেনে নিন এই প্রতিবেদনে। হাইকোর্টের নির্দেশে রক্ষাকবচ পেলেন বনগাঁর বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর পরিবার। ভোটের আবহে মতুয়া ঠাকুরবাড়ির তালাভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। এই জল গড়িয়েছিল আদালত অবধি। এবার এই মামলাতেই বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।

শান্তনুকে মতুয়া মহাসংঘের পাঠানো আগের নোটিশও খারিজ করেছে হাই কোর্ট। বলা হয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে নতুন করে নোটিশ পাঠাতে হবে। তিন দিন তথা ৭২ ঘণ্টা আগে সেই নোটিশ পাঠাতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। এরই সঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ।

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা, শ্লীলতাহানি, মারধরের অভিযোগে শান্তনুর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। অন্যদিকে আবার তৃণমূল নেত্রী মমতাবালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শান্তনুদের তরফ থেকে। পুলিশের তরফ থেকে শান্তনু ও তাঁর পিতাকে তলব করা হলেও মমতাবালাকে তলব করা হয়নি। বুধবার মামলার শুনানির সময় এই নিয়ে খানিক উষ্মা প্রকাশ করেন হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধরের এই মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পুলিশের তরফ থেকে যদি সকলের অভিযোগের প্রতি সমান গুরুত্ব দেওয়া হতো, তাহলে বিষয়টা এত জটিল হতো না। জবাবে রাজ্যের তরফ থেকে দাবি করা হয়, সেদিন দরজা ভাঙার এবং মারধরের ছবি দ্রুত সকল সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়। CRPF জওয়ানরাও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে দাবি করে রাজ্য।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।