সংক্ষিপ্ত
সিরিয়া পারভিন ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সাল থেকেই তিনি বিজেপির বসিরহাটের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
লোকসভা ভোটের আগে আবারও সন্দেশখালিতে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। এবার সন্দেশখালি তথা বসিরহাটে বিজেপি নেত্রী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয় ফাঁস করলেন বিজেপির সমস্ত পরিকল্পনাও। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের উপস্থিতিতেই তিনি দল বদল করেন। তিনি জানিয়েছে সন্দেশখালি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপি নানা পরিকল্পনা করেছিল। যা বাস্তবায়েনের দায়িত্বও ছিল তাঁর ওপর।
সিরিয়া পারভিন ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সাল থেকেই তিনি বিজেপির বসিরহাটের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিজেপির রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি দল বদল করেই পুরনো দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আর সংবাদ মাধ্যমে নাটক তৈরি করার জন্য আগে থেকেই প্ল্যান তৈরি করতে বলা হয়েছিল। আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে কী করে উপর থেকে টেক্সট করা হয়েছিল ভুয়ো ধর্ষণের দাবি কার্যকর করার জন্য। আমাদের টাকা ও মোবাইল দেওয়া হয়েছিল।' এদিন তিনি বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে নিয়েও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আন্দোলন করার জন্য রেখা পাত্রকেও মোবাইল আর টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
Dev Vs Hiran: 'শুভেন্দুদা তোমার প্রার্থী ... ঢপের ডক্টর', হিরণকে PhD ডিগ্রি নিয়ে পরপর খোঁচা দেবের
'আইসিকে মজা দেখাব!' নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে শুভেন্দুর হুমকি, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
সম্প্রতি গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানেপর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল স্থানীয় মহিলারা। তাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হত বলেও অভিযোগ করেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস গোটা ঘটনাতেই সাজান বলে দাবি করেছিল। পরবর্তীকালে সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের একটি স্টিং অপারেশন ভাইরাল হয়। যেখানে তিনি বলেছিলেন গোটা ঘটনাই সাজানো। যদিও পরবর্তীকালে গঙ্গাধর স্টিং ভিডিও নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন এজাতীয় কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। তবে এদিন দলবদলু সিরিয়া পারভিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের অভিযোগ ছিল সাজানো। তবে তিনি কী কারণে দল বদল করেছে তা স্পষ্ট কে জানাননি।
'কমিশন কলঙ্কিত করেছে', দ্বিতীয়বার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়