সংক্ষিপ্ত

জাতীয় দলের তকমা হারানোর পরই তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক। নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল প্রতিনিধিরা।

 

জাতীয় দলের তমকা ফেরাতে এখনই আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে আগে দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখা হবে বলেও জানিয়েছেন দলেরই এক নেতা। সোমবার নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে এনসিপি ও সিপিআই-এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসও জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা জানিয়েছেন, 'আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব। আইনি লড়াইয়েক আগেই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলা হবে। ' তিনি আরও বলেছেন খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে তাদের প্রতিনিধিদের একটি দল। সেখানেই জাতীয় দলের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানান হবে। তাতে যদি কোনও কাজ না হয় তাহলেই আইনি লড়াইয়ের পথে যাওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে সবকিছু এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। কিন্তু সোমবার নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পরে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বে যে বৈঠকে বসেছিল তা জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, যথাযথ নিয়মকানুন অনুসরণ করেই তৃণমূল কংগ্রেস ও বাকি দুটি রাজনৈতিক দলের জাতীয় দলের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংস্থা সূত্রের খবর দলগুলিকে দুটি সংসদীয় নির্বাচন ও ২১টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে মানদণ্ড আর্জনের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে  এই ঘটনার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকেই দায়ী করা হয়েছে। কারণ শুভেন্দু নির্বাচন কমিশনকে আগেই টুইট করেছিলেন। যা তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেই শেয়ার করেছেন। 

তৃণমূলের যাত্রাপথ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন। ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছিল। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করে। তবে ২০১৪ সালে রাজ্য দলের মর্যাদা পেয়েছিল। মাত্র সাত বছরেই তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল। সম্প্রতি গোয়া ও উত্তর -পূর্বের রাজ্যগুলিতে তৃণমূলের খারাপ ফলাফলই এর জন্য দায়ী।

জাতীয় দলের তকমা হারানোর সমস্যা

আগামী দিনে ভিন রাজ্যে নির্বাচনে লড়াই করার জন্য তৃণমূল ঘাসফুল প্রতীপ পাবে না। নির্বাচন কমিশনই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক স্থির করবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা ও আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি জাতীয় দলের ট্যাগ একটি সংস্থাকে সারা দেশে একটি সাধারণ নির্বাচনী প্রতীক পেতে, আরও তারকা প্রচারক, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য জাতীয় সম্প্রচারকদের বিনামূল্যে এয়ার টাইম এবং দিল্লিতে কনভেনশন অফিস স্পেসের অনুমতি দেয়।