সংক্ষিপ্ত
বিজেপি সাংসদের দাবিকে শুক্রবার সমর্থন করেন বাংলার বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর। তারপরই বাংলা ভাগের দাবিতে সরব হলেন বিজেপির অন্য বিধায়ক সুব্রত মৈত্র
বাংলা ভাগের দাবি ক্রমশই জোরালো করছে পদ্ম শিবির। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের পাশে এবার বাংলার বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। তবে তিনি নিশিকান্ত দুবে ও মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষকেও ছাড়িয়ে গেছেন। তিনি মালদা ও মুর্শিদাবাদের সঙ্গে আরও দুটি জেলাকে জুড়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুরের সঙ্গে নদিয়া ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একাংশকেও জুড়ে দিতে হবে। যা নিয়ে রীতিমত প্রতিবাদে সরব হয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
নিশিকান্ত দুবের দাবিঃ
বৃহস্পতিবার লোকসভার জিরো আওয়ারে বলতে ওঠেন ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশাকান্ত দুবে। তিনি জাতিগত ভারসাম্য বজায় রাখার কারণে বাংলার দুটি জেলাকে নিয়ে একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব দেন। বাংলার দুটি জেলা মালদা, মুর্শিদাবাদের সঙ্গে বিহারের কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার জেলাকে জুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
বিজেপি বিধায়কের দাবিঃ
বিজেপি সাংসদের দাবিকে শুক্রবার সমর্থন করেন বাংলার বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর। তারপরই বাংলা ভাগের দাবিতে সরব হলেন বিজেপির অন্য বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। তিনি বলেন, 'লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন মুর্শিদাবাদ জেলা এক তৃণমূল বিধায়ক জাতিহত বিন্যাসের তত্ত্ব খাড়া করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এই ধরনের ঘৃণা ছড়ানোর কারণে আমরা ভীত। এই কথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে মুর্শিদাবাদ, মালদা, নহিয়ার কিছুটা অংশ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে আমাদের সংখ্যা কোথাও ৩০ শতাংশ কোথাও আবার ৪০ শতাংশ। অনুপ্রবেশ ও জাতিগত বিন্যাসের কারণে সেখানে সনাতনীরা আজ চ্যালেঞ্জের মুখে। তাই মুর্শিদাবাদ , মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর ও নদিয়া উত্তরের বেশ কিছুটা অংশ নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার দাবি জানাচ্ছি'। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমার থেকে যেভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে তাতে হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। তাঁর মতে রামনবমী, সরস্বতী পুজোতে সমস্যা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন গ্রামে হিন্দুদের সংখ্যা শূন্য হচ্ছে বলেও দাবি করেন সুব্রত মৈত্র।
পাল্টা দাবি তৃণমূলেরঃ
যদিও সুব্রত মৈত্রের এই দাবি খারিজ করে দেন মুর্শিবাদাবের জঙ্গিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ অখণ্ড বঙ্গের অঙ্গ হিসেবে আগামী কয়েক হাজার বছর থাকবে। তাঁর দাবি বিরোধীরা আবারও বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত করছে। তাদের মানুষ উচিৎ শিক্ষা দেবে বলেও মনে করেন তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।