সংক্ষিপ্ত
মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনেই পাহাড়ে বনধের ডাক বিনয় তামাং-এর। অশান্তির আশঙ্কায় পড়ুয়ারা। পরিবহণ ও পরীক্ষা কেন্দ্র ছাড়ের কথা ঘোষণা বিনয় তামাং-এর।
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৩। কিন্তু পরীক্ষার প্রথম দিনেই সমস্যায় পড়তে চলেছে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং-এর কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। আগামী বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছেন গোর্খা নেতা বিনয় তামাং। অতীতে পাহাড়ের বনধের ছবিটা পরীক্ষাদের ভোগান্তির কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
সূত্রের খবর সোমবার বিধানসভায় 'বঙ্গভঙ্গ বিরোধী' প্রস্তাব পাশ হয়েছে। প্রস্তাব পেশ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেই পাহাড়ে বনধের ডাক দিয়েছেন বিনয় তামাংরা। অন্যদিকে এদিনই উত্তরবঙ্গ সফরের কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গোর্খাল্যান্ডের দাবি আরও জোরালো করতেই পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছেন বিনয় তামাং অজয় এডয়ার্ডরা। তেমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Subscribe to get breaking news alerts
পাহাড় বনধের খবর ইতিমধ্যেই পেয়েছ মধ্যশিক্ষা পর্যদ। গোটা বিষয় নিয়ে শিলিগুড়ি ডিআই অফিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্যদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কালিম্পং জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংক্যা ৩ হাজার ৪৩৯। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৩। দার্জিলিং জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ হাজারর ৩২৯ । পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৭।
বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে বেলা ৩টে পর্যন্ত। কিন্তু ১২ ঘণ্টার বনধের অর্থই হল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত পুরোপুরি অচল থাকবে পাহাড়। ততাই বনধের কারণে কীভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবেন পরীক্ষার্থীরা তাই নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে শুরু করেছেন তাঁরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে সূত্রের খবর বিনয় তামাংরা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তাঁরা বনধের আওতা থেকে পরিবহণ ও পরীক্ষাকেন্দ্রকে ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে। বনধের পাশাপাশি গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দার্জিলিং-এর গোর্খারাঙামঞঅচ ভবনে প্রতীকী অনশনেও জিটিএ-র নয় সদস্য সামিল হয়েছেন।
সোমবার রাজ্যসভায় 'বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব' পাশের তীব্র বিরোধিতা করেন বিনয় তামাং। তিনি বলেন, এই প্রস্তাব পাশ করানোর অর্থই হল সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ জানান। বিধানসভায় যা ঘটেছে তা অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেও দাবি করেন তিনি। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তিনি পাহাড়ের মানুষকে আবারও সরব হতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, পাহাড়ের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সব দিক থেকেই অত্যাচারিত ও বঞ্চিত। তাই আদালা রাজ্যের দাবিতে তিনি যে অনড় থাকছেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন।