সংক্ষিপ্ত

সমস্ত দুর্বলতা এবং বিভিন্ন উপ-গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব কাটিয়ে দলকে কীভাবে মজবুত করা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে রাজধানীতে আয়োজিত বৈঠকে। 

সমস্ত দলীয় সাংসদ এবং রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। আসন্ন ১৯ ডিসেম্বর, সোমবার আয়োজিত হতে চলেছে এই বৈঠক। সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের ডাকা বৈঠকে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনশলও উপস্থিত থাকবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। রাজ্য সংগঠনের প্রধানদের পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও ওই বৈঠকে থাকার কথা। বৈঠকে থাকতে পারেন পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে এবং দুই সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এবং আশা লাকড়াও।

২০২৩-এর শুরুর দিকেই পশ্চিমবঙ্গে হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। এর পরেই ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। দুই নির্বাচনে জোর লড়াই দিতে হবে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিপরীতে। দলের রণকৌশল কী হবে, তা নির্ধারণের লক্ষ্যে এই বৈঠক হতে চলেছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলা থেকে অনেকটাই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। অমিত মালব্য আগে থেকে দায়িত্বে থাকলেও নতুন করে বনশল, পাণ্ডে এবং লাকড়াকে দায়িত্বে আনা হয়েছে। রাজ্যে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন সতীশ ধন্দ। এঁরা সকলেই দিল্লির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। প্রথমে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দিল্লির বাসভবনে এই বৈঠকটি আয়োজিত হওয়ার কথা উঠলেও পরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের বাড়িতে ওই বৈঠক হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।

হায়দরাবাদে ২০২২ সালের জুলাই মাসে আয়োজিত বিজেপির সর্বভারতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনটি রাজ্যে নিজেদের আসন বাড়ানোর টার্গেট নেবে গেরুয়া শিবির। সেই তিনটি রাজ্য হল তেলঙ্গানা, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ। এর পরেই সুনীল বনশলকে এই তিন রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়, কারণ, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের কৌশলে বনশল ছিলেন সফল সদস্য। সেই লক্ষ্যে বাংলায় কী ভাবে কাজ করা হবে, তা নিয়েই সোমবারের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানাচ্ছেন বিজেপির রাজ্যনেতাদের একাংশ। ইতিমধ্যেই, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পদ্ম শিবির ঠিক কোন কোন বিষয়ে পিছিয়ে রয়েছে, তা নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়েছে শীর্ষ কর্তাদের হাতে। এই সমস্ত দুর্বলতা এবং বিভিন্ন উপ-গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব কাটিয়ে দলকে কীভাবে মজবুত করা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে রাজধানীতে আয়োজিত বৈঠকে।


আরও পড়ুন-
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইডি আধিকারিক চার্জশিট দিতেই পারেন না, আদালতে দাবি আইনজীবীর
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আয়োজিত হতে চলেছে জি ২০ গোষ্ঠীর বৈঠক, মুম্বই ছাড়াও তালিকায় আর কোন কোন শহর?