সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ট্যাগ করে এসএসসি সংক্রান্ত পোস্ট করেন জ্যোতির্ময় ।
জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হলেন বিজেপি নেতা ও সাংসত জ্যোতির্ময় সিং মাহাত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত জেলেই রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে ১ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারেন। তেমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতেই বিজেপি সাংসদ পার্থ চট্টোপাধ্য়য়ের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে সাওয়াল করেছেন। বিজেপি নেতা আরও জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর ও অমিত শাহের মন্ত্রকেও আর্জি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও চিঠি লিখেছেন। পাশাপাশি বিজেপি নেতা রাজ্য থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন তুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন।
পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাত। তাঁর চিঠিতে তিনি বলেছেন, 'SSC মামলায় মূল অভিযুক্ত, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরপত্তা নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রাজ্য সরকারের অধীনে SSKM থেকে বেসরকারি হাসপাতালে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন উনি। অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত SSKM। সম্প্রতি তাঁকে ট্রান্সফার করা হয়েছে।' জ্যোতির্ময় আরও জানিয়েছেন, 'বিশ্বস্ত সূত্রে আমার কাছে খবর রয়েছে,মামলা যখন নিষ্পত্তির মুখে শাসকদল তৃণমূল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে সরিয়ে দিতে চাইছে। চিরতরে মুখ বন্ধ করে দিতে চাইছে ওঁর। এমন গুরুতর পরিস্থিতিতে ওঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে অনুরোধ জানাচ্ছি আপনাকে। ওঁর কোনও ক্ষতি হলে বিচারপ্রক্রিয়ার উপর প্রভাব পড়বে। দুর্নীতির সত্যতা জানতে পারবে না রাজ্যের মানুষ। '
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ট্যাগ করে এসএসসি সংক্রান্ত পোস্ট করেন জ্যোতির্ময় । তাঁর কথায়,'বাংলার স্কুল সার্ভিস দুর্নীতি একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আর্জি জানাই স্কুল সার্ভিস কমিশন পাাকাপাকিভাবে তুলে দিন। যোগ্য প্রার্থীদের ন্যায় বিচার দিন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিরাপত্তা দিন। তৃণমূল চিরতরে ওঁর মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালচ্ছে। ' পার্থর নিরাপত্তা সংক্রান্ত চিঠিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, বারবার চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থ বিরোধী কাজ করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের সরিয়ে যোগ্যদের চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে হয় তারা অনিচ্ছুক নয়তো অসমর্থ। তিনি আরও বলেছেন, ইচ্ছেকৃতভাবে তথ্য গোপন করা হচ্ছে। অযোগ্যদের আড়াল করা হচ্ছে। যারমূল্য চোকাতে হচ্ছে যোগ্যদের। কমিশন একেবারেই অযোগ্য তাদের অস্তিত্বও অর্থহীন।
জ্যোতির্ময় আরও লেখেন, 'স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান, শুধুমাত্র বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলেই নয়, বাম জমানা থেকেই। CPM-এর তদানীন্তন বিধায়ক, যাঁরা এখন তৃণমূলে, তাঁরা প্রকাশ্যে সেই সময় বেআইনি নিয়োগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ রাজ্য সরকাররে মন্ত্রীও। দুর্নীতির শিকড় এত গভীরে, তা নিরাময় করা সম্ভব নয়'।
জ্যোতির্ময় সিং মাহাত স্কুল সার্ভিক কমিশন তুলে দিয়ে নতুন বোর্ড গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুর্নীতির যে রেকর্ড রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তা পাকাপাকিভবে ভেঙে দেওয়াই উচিৎ। পরিবর্তে একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা জরুরি।
জ্যোতির্ময়ের এই মন্তব্যের ক়ড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, 'যত অশিক্ষিত লোক হলে যা হয়, তা বলে যাচ্ছে। SSC ভাঙা যায়? একজন এমনি এসব বলছেন! পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি নিরাপত্তা চেয়ে থাকেন, ওঁরা দিয়ে দিন নিরাপত্তা!'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।