সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল কংগ্রেস অর্জুন সিং-কে প্রার্থী করেনি। কিন্তু তিনি কী করে ব্যারাকপুর থেকে প্রার্থী হবেন- তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন। পথ খোলা হয়েছে বিজেপির।

 

তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেনি। তাই ব্যারাকপুরের সাংসদ দুই দিন ধরে যথেষ্ট ক্ষোভই উগরে দিয়েছিলেন দলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দুই দিন পরে কিছুটা শান্ত হলেও তৃণমূল নিয়ে যে তিনি অসন্তুষ্ট তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন কারণ , মঙ্গলবার তাঁর অর্জুন সিং-এর দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। যদিও এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্জুন সিং বলেন, দলে তিনি আনওয়ান্টেড। তাই তাঁকে বেইজ্জত করা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে পাল্টা চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন ব্যারাকপুর থেকে তিনি জিতে সংসদে যাবেন।

তৃণমূল কংগ্রেস অর্জুন সিং-কে প্রার্থী করেনি। কিন্তু তিনি কী করে ব্যারাকপুর থেকে প্রার্থী হবেন- তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন। পথ খোলা হয়েছে বিজেপির। যদিও দলবদল নিয়ে এখনও কিছুই বলেননি অর্জুন সিং। সূত্রের খবর তিনি আবারও বিজেপিতে যোগ দিয়ে পদ্মফুল টিকিটে ব্যারাকপুরের প্রার্থী হতে পারেন। সেই জল্পনায় ঘি ঢেলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। কারণ তিনি বলেছেন, অর্জুন কোথায় যাবেন তা এখন আর তাঁর হাতে নেই। তিনি আরও বলেছেন, মোদীর নেতৃত্বে রাজনৈতিক নেতাদের রাজনীতির জামা গায়ে দিয়ে ঘোরার দিন শেষ হয়ে গেছে। অন্যদিনে ব্যারাকপুরের অর্জুনের বদলে তৃণমূলের টিকিক পাওয়া পার্থ ভৌমিক আবার অর্জুনকে দনবদল না করারই পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বারবার দলবদল মানুষ ভালো চোখে নেবে না। তিনি আরও বলেছেন এভাবে বারবার দল বদল ঠিক নয়।

প্রশ্ন তাহলে অর্জুন সিং নির্দল প্রার্থী হয়েই লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন। কিন্তু তার উত্তর এখনও দেননি ব্যারাকপুরের সাংসদ। যদিও বিজেপি রাজ্যের ২০টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলে এখনও বাকি রয়েছে ২২টি আসনের নাম। ২০টির মধ্যে কিন্তু নেই ব্যারাকপুরের নাম। তাই বিজেপির টিকিটের আশা রয়েছে বলেও অর্জুন ঘনিষ্টদের একাংশ মনে করেছেন। ব্যাকারপুর মূলত হিন্দিভাষী এলাকা। তাই সেখানে পার্থ ভৌমিকের থেকে অর্জুন সিং-এর প্রতিপত্তি বেশি বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই সুযোগও বিজেপি কাজে লাগাতে পারে। সবমিলিয়ে অর্জুনের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।