সংক্ষিপ্ত
অমিত আরও লেখেন হিন্দু বিশ্বাস এবং ধর্মগ্রন্থের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘৃণা খুব সুপরিচিত কিন্তু তাঁর এই মন্তব্যটি কেবল সংখ্যালঘুদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গভীর ঘৃণাই নয়, তার ভণ্ডামিও তুলে ধরে।
বেফাঁস বলে ফেলেছিলেন। সেটা নিয়ে হাতিয়ার করতে দেরি করেনি বিজেপি। এক নির্বাচনী জনসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায় রামায়ণ, মহাভারত, কোরান, বাইবেল শেষ হয়ে যাবে তাও আমার কাহিনী ফুরাবে না। এরপরেই বিজেপি নেতা অমিত মালব্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কড়া সমালোচনা করেন মমতার। তিনি বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে রামায়ণ, মহাভারত, বাইবেল এবং কোরআন একদিন শেষ হয়ে যাবে! এটা অকল্পনীয় যে কোন রাজনৈতিক নেতা ধর্মীয় বিশ্বাসের শ্রদ্ধেয় গ্রন্থের বিলুপ্তি কামনা করছেন।
অমিত আরও লেখেন হিন্দু বিশ্বাস এবং ধর্মগ্রন্থের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘৃণা খুব সুপরিচিত কিন্তু তাঁর এই মন্তব্যটি কেবল সংখ্যালঘুদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গভীর ঘৃণাই নয়, তার ভণ্ডামিও তুলে ধরে। তিনি মুসলিম ভোট চান, কিন্তু বকলমে চান যেন কুরআন মুছে ফেলা হয়।
বিজেপি নেতা নিজের পোস্টে বলেন এক মুসলিম সাংবাদিক এর প্রতিবাদ করলে কলকাতা পুলিশ তাকে আটক করেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্য মুসলমানদের ব্যবহার করেন এবং তার উদ্দেশ্য পূরণ হলে তাদের বাসের নীচে ফেলে দিতে কখনও দ্বিধা করবেন না। অমিত মালব্য আরও বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সমস্ত ধর্মের অনুসারীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে, শুধুমাত্র মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ফিরহাদ হাকিমকে বেছে নিয়েছেন। ফিরহাদ স্বীকার করেছেন 'তাঁর মুখ থেকে বের হয়ে গিয়েছিল'।
অমিত মালব্য এখানে প্রশ্ন তুলেছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ক্ষমা চাইছেন না? কেন তার প্রতিনিধি একা মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইছেন? অন্য ধর্মের প্রতি সেই সৌজন্যটুকুও কেন দেখাচ্ছেন না মমতা! কারণ নির্লজ্জ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মুসলিম ভোট এবং কেন্দ্রীয় তহবিল ছাড়া আর কিছুই পছন্দ করেন না। ২০১৯ সালে, তিনি মুসলমানদের "দুধেল গাই" (দুধ দেওয়া গরু), কারণ তারা তাকে ভোট দিয়েছিলেন। তারপর থেকে, তিনি আরও কঠোর হিন্দু-বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। অতি সম্প্রতি, তিনি রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন এবং ভারত সেবাশ্রম সংঘকে আক্রমণ করেছিলেন।'
যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের কথা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট পেতে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করতে পছন্দ করেন। তবে শিগগিরই সব সম্প্রদায়ের মানুষ তার বিপক্ষে ভোট দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লুট ও দুর্নীতি, মৃত্যু ও ধ্বংস, ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ‘কাহিনী’ যত তাড়াতাড়ি তিনি ভাবছেন তার থেকে তাড়াতাড়ি শেষ হবে বলে দাবি অমিত মালব্যের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।