সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শূন্যপদের মামলাটি।

 

রাজ্যের নিয়োগ মামলায় আবারও বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করল আদালত। রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু তারপর কেটে কেটে ১৪ বছর, ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ করা হয়নি। অর্থাৎ শূণ্যপদগুলি ফাঁকাই রয়েছে। এই নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাতেই বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশ শূণ্যপদে নিয়োগের জন্য আর অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। আগামী তিন মাসের মধ্যেই শূন্যপদে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শূন্যপদের মামলাটি। সেখানেই মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, গত ১৪ বছর ধরে প্রায় ৩০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়নি। নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা করছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। অন্যদিকে কমিশন জানিয়েছিল এই নিয়োগ প্রক্রিয়া তারা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ করতে চায়। কিন্তু আদালত মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, 'আর অরিপির্ত কোনও সময় নয়, তিন মাসের মধ্যেই আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে কমিশনকে। এত দিন সময় নিয়েও নির্দেশ পালন না করার জন্য কমিশনকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে।' আদালতেক লিগ্যাল সার্ভিসে জরিমানার টাকা জমা দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশে মাদ্রাসা সার্ভিশ কমিশন তিন হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করতে এবার বাধ্য। আদালত এদিন জানিয়েছে বারবার আদালতের নির্দেশ না মানার কারণেই রাজ্য সরকারকে জরিমানা দিতে হচ্ছে।

২০১০ সালে বাম আমলে মাদ্রাসার গ্রুপ -ডি শূন্যপদে ৩ হাজার কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালেও তা সমাপ্তি পায়নি। নিয়োগকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, সরকার চাকরি দিতে চায় না। তিনি আরও বলেছেন সরকারের উদাসীনতার জন্য নিয়োগ করা হয়নি। মামলাকারীরা আদালতে জানিয়েছে ২০১৯ সালে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার একক বেঞ্চ শূন্যপদে ১৪ দিনের মধ্যে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে রাজ্য সরকার বা মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল। আবেদনকারীদের দাবি সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বলাহ রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।