সংক্ষিপ্ত
গত কয়েকমাসে একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তবে সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগ, এনআইএ তদন্ত বন্ধ হচ্ছে না।
সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন, জমি দখল, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকদের উপর হামলা-সহ যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। বুধবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন থেকেই সিবিআই তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে সহজে অভিযোগ জমা নেওয়ার জন্য নতুন একটি ই-মেল আইডি তৈরির নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। এই ই-মেল আইডি-তে অভিযোগ দায়ের করা যাবে। আদালতের নজরদারিতেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলবে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল।
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে চাপে রাজ্য সরকার
বুধবার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকেও বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেশখালিতে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত অঞ্চলগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও এলইডি আলো বসানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর জন্য যা খরচ হবে. তা রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে।
রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই হাইকোর্টের?
বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, সন্দেশখালির ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার। এই কারণেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। এর অর্থ হতে পারে, আদালত মনে করছে রাজ্য পুলিশ বা সিআইডি তদন্ত করলে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না। সন্দেশখালিতে যে সব অভিযোগ উঠেছে সেগুলি অত্যন্ত গুরুতর। মহিলাদের সম্মানহানি, তফশিলীদের জমি দখলের বিষয়গুলি স্পর্শকাতর। অভিযোগকারীদের নাম যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সে বিষয়ে সতর্কতা বজায় রাখার উদ্যোগ নিয়েছে হাইকোর্ট। ২ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার মধ্যে সিবিআই-কে তদন্ত করে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী নির্দেশ দিতে পারে হাইকোর্ট।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'গোটা পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তুপের ওপর বসে আছে!' কেন এমন কথা বললেন দিলীপ ঘোষ