সংক্ষিপ্ত

আপাতত অনুমতি মিলেছে। 

\তবে আর এই মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ হল, শহরের কোথায় কোথায় ধর্না দেওয়া যাবে বা কোথায় দেওয়া যাবে না, তা নিয়ে এখনই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা উচিৎ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সেইসঙ্গে, তিনি একটি গাইডলাইন জারি করারও পরামর্শ দিয়েছেন।

চাকরির দাবিতে নবান্নের কাছে বাস স্ট্যান্ডে ধর্না দিতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চ। আগামী ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর, তারা ধর্নায় বসার অনুমতি চেয়েছিল। শুক্রবার, বিচারপতি ঘোষ শর্তসাপেক্ষে সেই ধর্নায় বসার অনুমতি দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের।

ধর্নার স্থান বদল করা হয়েছে এবং দিনও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অনুমতিই মিলেছে। বিচারপতি ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন, নবান্ন বাস স্ট্যান্ডের পরিবর্তে ধর্না দিতে হবে মন্দিরতলা বাস স্ট্যান্ডে। আগামী ১১ এবং ১২ নভেম্বর, করতে হবে অবস্থান বিক্ষোভ।

আর ধর্না শেষে পাঁচজন নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন। এই মামলাতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “শহরের কোথায় কোথায় ধর্না দেওয়া যাবে, আর কোথায় কোথায় দেওয়া যাবে না, তা নিয়ে পরিষ্কার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা উচিৎ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সেইসঙ্গে, একটি নির্দেশিকা বানিয়ে রাখা উচিৎ সরকারের।”

উল্লেখ্য, নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে ধর্না দেওয়ার জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের সেই অনুমতি দেয়নি। তারপরেই তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টে রাজ্যের তরফ থেকে দাবি করা হয়, নবান্নের বাস স্ট্যান্ডে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাবে না। বিচারপতির তখন পর্যবেক্ষণ, আবেদনকারীরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।

তারা যখন শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে চাইছেন, তখন তাতে বাধা দেওয়ার অধিকার নেই পুলিশের। এরপরেই রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয় যে, নিরাপত্তার স্বার্থেই নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে ধর্না দিতে বারণ করা হচ্ছে। তবে অন্য জায়গায় ধর্না দিতে পারেন গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা।

ফলে, আদালত শর্তসাপেক্ষে ধর্না দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে এই সংগঠনের সদস্যদের। এই নিয়েও পর্যবেক্ষণের কথাও জানান বিচারপতি।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।