সংক্ষিপ্ত
তদন্তের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও যেতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রেসিডেন্সি জেলের ভিতরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করলেন জন্য সিবিআই আধিকারিকেরা। প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের নির্দেশে, ২৫ জুলাই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে একটানা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের চারজন অফিসার। সিবিআইয়ের এসপি কল্যাণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করেন দু’টি পৃথক মামলার তদন্তকারী আধিকারিক মলয় দাস, ওয়াসিম আক্রম খান-সহ চার জন। হাই কোর্টের নির্দেশে এই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ আবার প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে গেছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই জেরা করা শুরু হয়ে গেছে। নিয়োগ দুর্নীতির অন্য মামলায় অভিযুক্ত হয়ে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন, কিন্তু এখন তাঁকে সিবিআই নিজের হেফাজতে নেবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘পোস্টিং’ করা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একটি মামলা করেছিলেন সুকান্ত প্রামাণিক। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়। প্রাথমিকের নিয়োগে এই দুর্নীতির নেপথ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সক্রিয়ভাবে ছক কষে কাজ করেছেন বলে মনে করেছেন বিচারপতি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মানিককে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে, তিনি টাকার বিনিময়ে প্রার্থীদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন।
সিবিআইয়ের উপরে জিজ্ঞাসাবাদের ভার দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দক্ষ আধিকারিকদের জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রাত সাড়ে ৮টা থেকে জেরা করা শুরু হয়। এজলাসে বসেই সিবিআইয়ের আধিকারিকদের মামলার বিষয়বস্তু বুঝিয়ে দেন বিচারপতি। তাঁর নির্দেশ, এ বিষয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের সাহায্য করতে হবে জেলের সুপার। অসহযোগিতার অভিযোগ এলে আদালত কড়া পদক্ষেপ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি, তদন্তের কাজে ইডি-কেও যুক্ত করার নির্দেশ দেন তিনি। জানিয়ে দেন, এই মামলায় কোনও আর্থিক তছরুপ হয়ে থাকলে তদন্ত করতে পারবে ইডি। মঙ্গলবার থেকেই শুরু করা যাবে তদন্ত। সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্ব দেওয়ার সাথে সাথে তাদের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, সিবিআইকে যেহেতু তিনিই নিয়োগ করেন, তাই তদন্তের স্বার্থে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও যেতে পারেন।
আরও পড়ুন-
আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষদের রক্তপরীক্ষার প্রস্তাব
রাজ্য সরকারের ৩টি দফতরে সিবিআইয়ের চিঠি, নিয়োগ দুর্নীতিতে বড়সড় পদক্ষেপ নিল তদন্তকারী সংস্থা
‘Sex Video’: মহিলার সঙ্গে এ কী করছেন বিজেপি নেতা! ৮ ঘণ্টার ‘ঘনিষ্ঠ’ ভিডিও নিয়ে তোলপাড় মহারাষ্ট্র
Sex Tips: সেক্সে সমস্যা? যৌন জীবনে স্ফূর্তি ফিরিয়ে আনতে মেনে চলুন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস