সংক্ষিপ্ত
বর্তমানে পথশ্রী প্রকল্পের টাকাও রাজ্য নিজের ভাড়ার থেকে খরচ করে। শেষবার গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা এসেছি ২০২২ সালে। কিন্তু তারপর টানা দুই বছর কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে এই প্রকল্পে কোনও টাকা দেয়নি।
আবাস যোজনার টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিযোগে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজের টাকাও মেটায়নি কেন্দ্র। কিন্তু তারই মধ্যে এল সুখবর। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড় যোজনা প্রকল্পে প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা পাঠাল কেন্দ্র। যার কারণে আগামী দিনে ফিরতে পারে গ্রাম বাংলার হাল।
বর্তমানে পথশ্রী প্রকল্পের টাকাও রাজ্য নিজের ভাড়ার থেকে খরচ করে। শেষবার গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা এসেছি ২০২২ সালে। কিন্তু তারপর টানা দুই বছর কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে এই প্রকল্পে কোনও টাকা দেয়নি। মঙ্গলবার রাজ্যের কাছে যে চিঠি এসেছে তাতে টাকা দেওয়র কথা বলা হয়েছে। গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্র দিলেও রাজ্য সরকারকে ৪০ শতাংশ টাকা দিতে হয়। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকায় গ্রাম অঞ্চলে রাস্তা তৈরি হয়। পাশাপাশি রাস্তা মেরামতির কাজও হয় এই টাকায়। বর্তমানে গ্রাম বাংলার রাস্তা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রের এই টাকা আসায় রাস্তা তৈরি ও মেরামতির কাজ দ্রুত গতিতে হবে বলেও মনে করছেন অনেকে। তবে রাজ্যের বিরোধী দল এই টাকা লুঠ হতে পারে বলেও অনুমান করেছে।
রাজ্যের শাসক দল বিধানসভা থেকে শুরু করে সংসদে রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তার তীব্র প্রতিবাগ করেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। তিনি বলেন, 'তৃণমূলের মালিকেরা বারেবারে বেল বিজেপির জমিদামরা ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা কর নিয়েছে। ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার ন্যায্য পাওয়া টকে রেখেছে। ভারত সরকার ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ক ৬.৪৯ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছে।' বিজেপি নেতার দাবি রাজ্য সককার আগে কেন্দ্রের শেয়ার নিয়ে অ্যাকাউন্টে রেখে দিত । সেখান থেকে সুদ পাওয়া যেত। সেই টাকায় মেলা খেলা করত। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা আটকে দিয়েছে। তাতেই ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসক দল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।