সংক্ষিপ্ত

অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ফর লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটিজ এর অফিসে ডেপুটেশন জমা দিল গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন এই সংস্থা।

WBCS পরীক্ষায় বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক নিয়ে বিজেপির সঙ্গে সংঘাত। বিজেপি নেতাকে কার্যত ‘হিন্দি ভাষার মাফিয়া’ বলে উল্লেখ করে ৩০ মে, মঙ্গলবার ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অফ মাইনরিটি অ্যাফেয়ার্স-এর Liguistic Minorities ডিভিশনের পূর্বাঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অভিজিৎ কুমার ঘোষের অফিসে ডেপুটেশন দিল ‘বাংলা পক্ষ’। প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন আগে রাজ্য সরকারের ডব্লুবিসিএস পরীক্ষায় ৩০০ নম্বরের বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা জিতেন তিওয়ারির সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটি অ্যাসোসিয়েশন’ অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ফর লিঙ্গুয়িস্টিক মাইনরিটিজ-কে ডেপুটেশন দেয়। ডেপুটেশন দেওয়ার পর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বাংলার মাননীয় মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে "অ্যাকশন টেকেন" রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। বাংলা পক্ষের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারের মাইনরিটি অ্যাফেয়ার্স মিনিষ্ট্রির এই বিভাগ বাংলার মুখ্যসচিব কে চিঠি দেয় কিভাবে? এটা সাংবিধানিক এক্তিয়ারের প্রশ্ন।

 

 

গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন এই সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে যে, যেখানে ভারতের অন্যান্য সমস্ত রাজ্যে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সেই মূল সরকারি ভাষার পেপার থাকা বাধ্যতামূলক, সেখানে বাংলায় ডব্লুবিসিএস এ বাংলা বাধ্যতামূলক হলে বিজেপির কিসের সমস্যা? বিজেপি WBCS-এ বাংলা বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে হলে, সেই কথা দলের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে বলা হোক। বাংলা পক্ষ অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের কাছে জানতে চেয়েছে যে, অন্যান্য সব রাজ্যে যখন সেই রাজ্যের মূল ভাষার পেপার বাধ্যতামূলক, সেইসব রাজ্যগুলোর লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটিদের জন্য কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে?

অন্যান্য অনেক রাজ্যে বাঙালিরা থাকেন। কিন্তু সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা বাংলায় দেওয়া যায় না। সেখানে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ফর লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটিস কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চায় বাংলা পক্ষ-র প্রতিনিধি দল। এছাড়াও, ভারত সরকারের অধিকাংশ কেন্দ্র সরকারি চাকরির পরীক্ষা শুধুমাত্র হিন্দি ও ইংরেজিতে হয়, বাংলায় হয় না, সেক্ষেত্রে ভারত সরকারের কমিশনার ফর লিঙ্গুইস্টিক মাইনোরিটিস কি ব্যবস্থা নিয়েছে, এই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলা পক্ষ-র প্রতিনিধিরা।

বাংলা পক্ষ-র দাবিগুলি মেনে নিয়ে এসিস্ট্যান্ট কমিশনার মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে অ্যাকশন টেকেন বা ব্যবস্থা নেওয়ায় আদেশ বদলে বিষয়টি ‘একজামিন বা তদন্ত করে দেখার’ আবেদন করেন। পরিবর্তিত চিঠির প্রতিলিপি বাংলা পক্ষ-র প্রতিনিধি দলের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাংলা পক্ষর প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য মনোজিৎ বন্দ‍্যোপাধ্যায়, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়।

গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজকের সাফল্য WBCS-এ ৩০০ নম্বরের বাধ্যতামূলক পরীক্ষার বাস্তবায়নের পথে আরও একটি জয়। এই জয় বাঙালির জয়। কোনও বহিরাগত বাঙালি-বিরোধী শক্তি বাঙালির ক্ষতি করতে পারবে না।” কৌশিক মাইতি বলেন, “৩০০ নম্বরের বাধ্যতামূলক বাংলা পরীক্ষার নির্দেশ বানচাল করার বাংলা তথা বাঙালির শত্রুদের প্রচেষ্টা সফল হতে দেবে না বাংলা পক্ষ।” মনোজিৎ বন্দ‍্যোপাধ্যায় বলেন, “আলোচনা সদর্থক হয়েছে এবং বাংলা পক্ষ সফলতা লাভ করেছে।” অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “৩০০ নম্বরের বাংলা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার পথে সমস্ত চক্রান্তকে নস্যাৎ করবে বাংলা পক্ষ।”

এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন বাংলা পক্ষ-র উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল সাংঠনিক জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, দক্ষিন ২৪ পরগণা জেলার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, উত্তর ২৪ পরগনা শিল্পাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মামুদ আলি মণ্ডল সহ বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন-

আগামী সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গে খুলে যাচ্ছে সমস্ত স্কুল, বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর

দেশের প্রায় দেড়শ’টি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ, স্বীকৃতি চলে যাওয়ার আশঙ্কা

‘মোদীজি ঈশ্বরকেও বুঝিয়ে দেবেন যে ব্রহ্মাণ্ড কীভাবে চলে’, আমেরিকার সভা থেকে ফের সরব রাহুল গান্ধী