সংক্ষিপ্ত
সোমবার আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষিতা তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের এক মাস পুরাণ হল। এই মর্মান্তিক ঘটনার মাসপূর্তির দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন'এক মাস তো হয়ে গেল। আমি অনুরোধ করব পুজোয় ফিরে আসুন। উৎসবে ফিরে আসুন।' একই সঙ্গে প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরারও অনুরোধ জানান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। প্রতিবাদীরাও তীব্র সমালোচনা করেন।
সুকান্ত মজুমদার
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে কী মনে করেন? গোটা রাজ্যের মানুষ ওঁর দলের চাকরবাকর নাকি! উনি ঠিক করে দেবেন মানুষ কখন আন্দোলন শেষ করবেন? গোটা বাংলা আর ভারাক্রান্ত। যে মা জীবনে কোনও দিন মিছিলে হাঁটেননি তিনিও আজ পথে। নির্যাতিতাতে সকলেই জের আত্মীয়-সম মনে করে পথে নেমেছে।'
রিমঝিম সিনহা
রাত দখলের কর্মসূচি রিমঝিম সিনহার মস্তিষ্ক প্রসূত। তিনি বলেন, 'জনসাধারণ এখন মহোৎসবেই রয়েছেন। কারণ তাঁরা আন্দোলনকে মহোৎসব বলেও মনে করেন। তাঁরাই ঠিক করবেন কোনটা উৎসব।' তিনি আরও বলেন, আন্দোলন কোনও একটি ঘটনার জন্য নয়। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘঠে তারজন্যই মানুষ পথে নেমেছেন। আন্দোলনে ওঠা দাবি নিয়ে প্রশাসন পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ।
শমীক ভট্টাচার্য
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'মমতার কথায় স্বৈরাচারী স্বর রয়েছে। উৎসব তো হয় মনের আনন্দে। মনে আনন্দ থাকলেই তবেই উৎসব। উনি তো মানুষের আনন্দই কেড়ে নিয়েছেন। তাই মানুষই পথ ঠিক করবে। আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। '
দীস্পিতা ধর
সিপিআই(এম) নেত্রী দীপ্সিতা ধর বলেন, 'আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই ভয় থেকে বাঁচতে উৎসবের মুজ আনতে চাইছেন। ভাবছেন উৎসবের আলোয় অন্ধকার ঢেকে দেবেন। কিন্তু সেটা হবে না। যিনি পুজোয় থাকবেন তিনি মিছিলেও হাঁটবেন।'