সংক্ষিপ্ত

ভোটের মাঝেই আবার সিবিআই-এর ডাক। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লাকে ফের তলব সিবিআই-এর।

ভোটের মাঝেই আবার সিবিআই-এর ডাক। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লাকে ফের তলব সিবিআই-এর।

আর মাত্র ৭২ ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই পশ্চিমবঙ্গের ৯টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হটাৎ তলব শওকত মোল্লাকে। সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে, কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাঁকে ডাকা হয়। কিন্তু সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে হাজিরা দিতে যাচ্ছেন না শওকত মোল্লা। তিনি কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এই তৃণমূল নেতা ভাঙড় বিধানসভায় এবার পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। দলের তরফে তাঁর হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। আর সেই ভাঙড় বিধানসভা আবার পড়ে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। অন্যদিকে, তিনি ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক। সেই অঞ্চলটি পড়ে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। দুটি কেন্দ্রেই আগামী শনিবার নির্বাচন।

এইসবের মাঝেই সিবিআই-এর তলব রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, বুধবারই শওকত মোল্লাকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার, তাঁর কাছে চিঠিও পৌঁছে যায়। কিন্তু সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেছেন। বুধবার তিনি নিজাম প্যালেসে যাননি।

শওকত সিবিআইকে বলেছেন, নির্বাচনের কারণে এখন ব্যস্ত রয়েছেন। ভোট শেষ হলে হাজিরা দিতে পারবেন তিনি। আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে। সেইদিন পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছেন এই দাপুটে তৃণমূল নেতা।

প্রসঙ্গত, ২ বছর আগেও একবার তাঁকে ডেকেছিল সিবিআই। গত ২০২২ সালের জুন মাসে তিনি প্রথম হাজিরা দেন। ঠিক একই সময়ে কয়লাকাণ্ডে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জেরা করা শুরু করে সিবিআই। এমনকি, বাদ যাননি তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

আবারও ফের একবার শওকত মোল্লাকে তলব কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। কয়লাকাণ্ডের তদন্ত শুরু হতেই বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য আসে সিবিআই আধিকারিকদের হাতে। জানা যায়, আসানসোলের কয়লা খনি থেকে অবৈধভাবে কয়লা তোলা হত। পরে তা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ইটভাটায় পৌঁছে যেত। সেই ঘটনার সঙ্গে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই আবার তলব কি না, তা যদিও স্পষ্ট নয়।

কিন্তু একটি বিষয় পরিষ্কার যে, ভোটের মাঝেও তদন্ত থেকে পিছিয়ে আসেনি সিবিআই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।