সংক্ষিপ্ত
অধীর বলেন, দেশের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিত্বের ওপর ভরসা না করে তারই পথ তৈরি করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই কংগ্রেস ক্ষোভ উগরে দিল। রবিবার ব্রিগেডের তৃণমূলের জনসভা থেকে লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যের ৪২ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে তিনি ব়্যাম্পেও হাঁটেন তিনি। তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ দিনই জোট করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। কিন্তু এদিন আচমকাই তৃণমূল নেত্রী প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পরই ক্ষোভ উগরে দেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রথম সারিতেই ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, জয়রাম রমেশও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করেন।
অধীরের বক্তব্যঃ
অধীর বলেন, দেশের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিত্বের ওপর ভরসা না করে তারই পথ তৈরি করেছেন। অধীর আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে এক কথা বলেন, কাজে এক করেন। তাঁর কথায় আর কাজের কোনও মিল নেই। যাদের কথার দাম নেই, চিন্তায় চালাকি রয়েছে তাদের ওপর ভরসা না করাই শ্রেয়। তিনি আরও বলেন, মমতা মোদীকে ভয় পান। মমতা যদি ইন্ডিয়া জোটের সদস্য হয় তাহলে মমতার সমস্যা। মোদী যাতে রাগ না করে তার জন্যই মমতা ইন্ডিয়া জোট থেকে বেরিয়ে আসেন। মোদীর কোপে না পড়তে হয় তার জন্যই এই রাজ্যে একতরফা আসন ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও বলেন, মমতা যদি জোটের সদস্য হন তাহলে এই রাজ্যে বারবার ইডি, সিবিআই রেড হত, তাতে তৃণমূল দলের সমস্যা আরও বাড়ত। আর সেই কারণে মমতা জোট থেকে বেরিয়ে আসেন। অধীর আরও বলেন, এই প্রার্থী তালিকার মাধ্যমেই মমতা বিজেপিকে বার্তা দিয়েছেন, তিনি বিজেপির বিরোধী নন, তিনি ইন্ডিয়া জোটের সদস্য নন।
এই রাজ্যে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা ইউসুফ পাঠানকে। এই কেন্দ্র অধীরের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত। ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করে মমতা কংগ্রেসের জন্য সমস্যা তৈরি করেছে। অধীর বলেন, ইউসুফ পাঠানকে যদি তৃণমূল বা মমতা সম্মান দিতে চাইত তাহলে বিজেপির সঙ্গে কথা বলে গুজরাট থেকেই প্রার্থী করতে পারত। কিন্তু তা না করে তাঁকে বহরমপুর কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে। মমতার এই পদক্ষেপের কারণ হল ভোট ভাগ করে বিজেপির সুবিধে করে দেওয়া। কংগ্রেসের হার নিশ্চিত করার জন্যই এই কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ অধীরের।
জয়রাম রমেশের বক্তব্য
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, কংগ্রেস সর্বদাই পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে অসন সমঝতা করতে চেয়েছিল। একটি সম্মানজন আলোচনা চেয়েছিল। কিন্তু মমতা ইন্ডিয়া জোটের অংশ হয়েও এককভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন। এটি মানা যায় না। আগামী দিনে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।