সংক্ষিপ্ত

মীনাক্ষী বলেন, বামপন্থীরা পাড়ায় রাজনীতি করার জন্য গুঁতোগুঁতি করেন না। তাদের লড়াই পঞ্চায়েত, বিধানসভা বা সংসদে টিকিট পাওয়ার জন্য নয়।

 

ইনসাফ যাত্রার মূল মুখ ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সিপিআই(এম) এর অন্দরে গুঞ্জন তিনি আগামী দিনের নেত্রী, দলের কাণ্ডারীর দায়িত্ব পাবেন। ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রাকে সফল করারও মূল কারিগর তিনি। কিন্তু মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এই সাফল্যের পরেও অত্যান্ত সাদামাটা। রবিবার ইনসাফ সমাবেশেও যোগ দিতে গিয়েছিল খুব সাধারণ ভাবে। সাদামাটা পোশাকে দিনেশ মজুমদার ভবন থেকে বাইকে করেই ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আর তাতেই তাঁর তুলনা শুরু হয়ে গেছে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যদিও এটাই প্রথম নয় , এর আগেও একাধিকবার মমতার সঙ্গে তাঁর তুলনা টানা হয়েছে। যদিও এসেবে গুরুত্ব দিতে নারাজ মীনাক্ষী। এদিন তিনি রাজ্যের দুর্নীতি বেকারি-সহ একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন মীনাক্ষী।

মীনাক্ষী বলেন, বামপন্থীরা পাড়ায় রাজনীতি করার জন্য গুঁতোগুঁতি করেন না। তাদের লড়াই পঞ্চায়েত, বিধানসভা বা সংসদে টিকিট পাওয়ার জন্য নয়। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে যতদিন লুঠ অপশাসন, অত্যাচর চলবে ততদিনই খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করবে বামেরা। এদিন মীনাক্ষী নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা নিজেদের চুল কেটে ফেলেছে। তাদের চোখের জলের দাম দিতে হবে। এটা লড়াইয়ের শুরু। এই মঞ্চ থেকেই নিহত আনিস খান, সুদীপ্ত গুপ্তদের কথাও স্মরণ করেন তিনি।

এদিন মীনাক্ষী সরাসরি মমতাকে আক্রমণ করেন। বলেন, 'যে মাঠে বলেছিল খেলা হবে তারই দখল নিতে এসেছি। গোটা রাজ্যের রাজনীতির দখল যখন বামেরা তখন ডানদিকের অসুবিধে হয়।' এদিন সেলিমের বক্তব্যের পরই মিনাক্ষী বুদ্ধদের ভট্টাচার্যের পাঠান বার্তা পাঠ করেন। তিনি প্রথমেই বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন ডিওয়াইএফআই-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। গতকাল রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন মিনাক্ষীরা। বুদ্ধদের বার্তা 'ব্রিগেডের সমাবেশ সাফল্যমণ্ডিত হবে।' সভাশেষে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠও করেন সমাবেশে উপস্থিত জনতা।

YouTube video player