সংক্ষিপ্ত
সিপিএমএর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। সেখানেই তিনি বলেছেন, 'সতর্ক আমরা নিয়োগ করছি!
ভোট বড় বলাই। শূন্য থেকে শুরু করতে মরিয়া সিপিআই(এম)। বিধানসভার পর লোকসভা নির্বাচনেও শূন্য ছিল সিপিএম-এর আসন সংখ্যা। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচন অর্থাৎ ২০২৬ সালের নির্বাচনে খাতা খুলতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা শুরু করেছে লাল- পার্টি। আর সেই কারণে এবার দীর্ঘ দিন ধরেই দলের অন্দরে ওঠা প্রশান্ত কিশোরের মত পেশাদারকে নিয়োগের দাবিতে শেষপর্যন্ত মান্যতা দিয়ে ফেলল আলিমুদ্দিন।
সিপিএমএর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। সেখানেই তিনি বলেছেন, 'সতর্ক আমরা নিয়োগ করছি! বাংলাকে বদলে দিতে আমাদের শক্তিশালী দলে যোগ দিন!' সেলিম যে ছবি পোস্ট করেছে সেখানে খোঁজা হচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ- যার যোগ্যতা হবে ৪-৮ বছর। রাজনৈতিক ইন্টার্ট। যার যোগ্যতা হবে ১-৩ বছর। এখানেই শেষ নয়, সিপিএম কনটেন্ট রাইটার আর গ্রাফিক্স ডিজাইনারও খুঁজছে। পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভও খুঁজছে। একই সঙ্গে সেখানে একটি কিউআর কোর্ডও শেয়ার করেছেন সেলিম।
সিপিএম-এর বিজ্ঞাপন থেকে স্পষ্ট বিধাবসভা নির্বাচনের আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া প্রাক্তন শাসক দল। কারণ গত কয়েকটি নির্বাচন এই রাজ্যে হচ্ছে ত্রিমুখী। কারণ একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি। অন্যপক্ষ বাম ও কংগ্রেস জোট। কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিতে যেতে হচ্ছে সিপিএমকে। একের পর এক কর্মসূচিতে সফল হচ্ছে। ব্রিগেডে প্রচুর মানুষের সমাগমও হয়েছে। কিন্তু ভোটবাক্সে লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে না। আর সেই করণেই এবার অন্য পথে হাঁটতে চলেছে সিপিএম।
কিন্তু প্রশান্ত কিশোর বর্তমানে ভোট কুশলীর কাজ করবেন না বলে ঘোষণা করেছেন। তাঁর নিজের রাজনৈতিক দল রয়েছে। অন্যদিকে আইপ্যাস সংস্থা এই রাজ্যে তৃণমূলের ভোট কুশলীর কাজ করে। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর বা আই প্যাকের পরামর্শের জন্য বছরে কয়েকশো কোটি টাকা দিতে হয়। এত টাকা কী সিপিএম-এর কোষাগারে রয়েছে? তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।