সংক্ষিপ্ত

সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিম্নশ্রেণীর মিথ্যাচার করছেন। তিনি তারপরই বলেন যে ১৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে কতজন সিপিএম আর কতজন এসএফআই রয়েছে।

 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে এবার সিপিএম পাল্টা নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের সংখ্যালঘু সভা দাঁড়িয়ে মমতা ছাত্রমৃত্যু নিয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনকে একহাত নিয়েছিলেন। এর আগেও তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে সিপিএমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। এদিন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিম্নশ্রেণীর মিথ্যাচার করছেন। তিনি তারপরই বলেন যে ১৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে কতজন সিপিএম আর কতজন এসএফআই রয়েছে।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আসল অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছে। সেই কারণেই সিপিএম-এর নাম বারবার বলছেন। কথা প্রসঙ্গে সেলিম জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন। সেলিম বলেন, সেই সময়ই মমতা সিপিএম-এর ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিল। তিনি বলেন, 'ওঁকে বুঝতে হবে তিনি এখন আর বিরোধী নেত্রী নেই, আর কবে প্রশাসক হবেন মমতা?' সেলিম আরও বলেন, যাদবপুরকাণ্ডে যারা ধরা পড়েছে তাদের পূর্বসুরীরা একটি সময় সিপিএম নেতা কর্মীদের হত্যা করতে নেমেছিল।

মমতা যাদবপুরকাণ্ডে বারবার সিপিএমএর নাম করছে। তাতে চাপ বাড়ছে বামেদের ওপর। আগামী ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। এদিন মেয়ো রোডের সভায় মমতার সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে বামেদের ওপর আরও কড়া আক্রমণ হতে পারে। তা প্রতিহত করতে আগেই রণকৌশল তৈরি করেছে তারা। সেই জন্যই ২৯ অগাস্ট যাদবপুর ৮-বি বাসস্ট্যান্ডে একটি সভা ডেকেছে এসএফআই। এসএফআই-এর সভায় সেলিম, নীলোৎপল বসু, সুজন চক্রবর্তীর মত প্রথম সারির বাম নেতারা উপস্থিত থাকতে পারেন।

নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মমতা বলেছিলেন বলেন, 'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিপিএম-এর ইউনিয়ন আর লেফটিস্টিদের ইউনিয়ন কি করে একটা ছেলেকে মেরে ফেলল। এরা এতটুকুও বদলায়নি। এত খুন করেও বদলায়নি।'বেহালায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, মমতা বলেন, 'যাদবপুরে যেভাবে এই যে ছেলেটিকে স্বপ্নদীপ অনেক স্বপ্ন নিয়ে তাঁর বগুলার মা বাবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে পানকরণ করেছিল। আমাকে বলেছিল আমি ফোন করেছিলেন, ছেলেটি খুব কাঁদছিল। কিন্তু তখনও ভাবতে পারেনি ওভাবে ওপর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।' তিনি বলেন যারা অত্যাচার করেছিল তারা মার্ক্সবাদী। এখনও বড়বড় কথা। এখনও বিজেপির সঙ্গে ঘর করছে। কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করছিল। তিনি আরও বলেন, ছেলেটি একটি মাদুলি পরেছিল। সেই কারণে স্বপ্নদীপের ওপর অত্যাচার করেছিল। মাদুলি খুলতে বলেছিল। তিনি আরও বলেন, সেই সময় মার্ক্সবাদীরা বলেছিল এটা রেডপোল। তিনি আরও বলেন, যাদবপুরে পুলিশ ঢুকতে দেয় না। সিসিটিভি লাগাতে দেয় না। যাদবপুরে এখনও আগমার্কা সিপিএম রয়েছে। তারা এখনও মনে করে গ্রাম থেকে ছুলেপুলে এলেই তারা আত্যাচার করার অধিকার বলে মনে করে। তিনি আরও বলেন, 'এইজন্যই তিনি যাদবপুর যান না।' তারপরই মমতা বলেন, যাদবপুরের ছেলেমেয়ে পড়াশুনায় ভাল হতে পারে। কিন্তু সেটাই তো সব নয়। তিনি বলেন তারমধ্যেও অবশ্য ভাল কিছু রয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'আমার ছোট ছোট ভাইবোন যাদের রাজনীতি করার ইচ্ছে রয়েছে তারা বিজেপি আর সিপিএমটা করবেন না। ওরা দানবিক মানবিক নয়।' তিনি আরও বলেন, 'যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর হয়ে গেছে।'