সংক্ষিপ্ত

১৬ মে ২০২০ -২১ মে ২০২০ গোটা শহর ত্রস্ত ছিল আম্ফানের দাপটে। ঘণ্টাখানেকের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছিল গোটা শহর। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল যান চলাচল। জলের জন্য শুরু হয়েছিল হাহাকার। সেই স্মৃতি ফিরে আসছে রেমালের কারণে।

 

আম্ফানের স্মৃতি উস্কে দিয়ে দ্রুত স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ইতিমধ্যেই দিঘায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী একাধিক এলাকায় বৃষ্টি পড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। কলকাতাতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে শহরবারীর মনে উঁকি দিচ্ছে আম্ফানের স্মৃতি।

১৬ মে ২০২০ -২১ মে ২০২০ গোটা শহর ত্রস্ত ছিল আম্ফানের দাপটে। ঘণ্টাখানেকের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছিল গোটা শহর। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল যান চলাচল। জলের জন্য শুরু হয়েছিল হাহাকার। বিদ্যুৎ পরিষেবা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। মোবাইল পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছিল। শুধুমাত্র সেই সময় ভরসা ছিল বিএসএনএল এর কানেকশন। চার বছর আগের স্মৃতি আবারও উস্কে দিচ্ছে রেমাল। কারণ ভারতের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী রেমালের ল্যান্ডফল হওয়ার কথা সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে। যার প্রভাব সবথেকে বেশি পড়বে পশ্চিমবঙ্গের। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে উপকূলবর্তী ও গাঙ্গেয় উপত্যতার জেলাগুলিতে।

ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। সকাল থেকে প্রখর রোদ থাকলেও দুপুরের পর থেকে আকাশের মুখ ভার হয়ে যায় । বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। তাপমাত্রাও এক ঝটকায় অনেকটাই কমে গেছে। কিছুটা স্বস্তি এলেও রেমাল- আতঙ্ক বাড়ছে। হাওয়া অফিসের বার্তা অনুযায়ী শনিবার সকালেই তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়। রাতের মধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝ়ড়ে পরিণত হতে পারে। রবিবারের মধ্যেই ল্যান্ডফল করবে। তারপরই নিম্নচাপের আকার নেবে ঘূর্ণিঝড়। সেই করাণে হাওয়া অফিস ২৫-২৮ পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে। একাধিক জেলায় ঝড় বৃষ্টির জন্য জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কোথাও জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।

আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এদিন দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে। আগামিকাল সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে। সোমবারও গোটা রাজ্য জুড়েই চলবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। ভাসবে উত্তরের জেলাগুলিও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ২৯ মে।