সংক্ষিপ্ত
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে নতুন বছরে মুখ্যমন্ত্রীকে শহীদ মিনারে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এসে যেন তাঁদের দাবি মিটিয়ে দেন সেকথাও উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
পয়লা বৈশাখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানালেন ডিএ-এর দাবিতে আন্দলনরত কর্মীদের একাংশ। শুভেচ্ছাবার্তার চিঠিতেই অভিনব কায়দায় মমতাকে তোপ দাগলেন তাঁরা। চিঠির শিরোনামে বড় বড় করে লেখা 'সরকারি কর্মীদের হালখাতা'। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে নতুন বছরে মুখ্যমন্ত্রীকে শহীদ মিনারে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এসে যেন তাঁদের দাবি মিটিয়ে দেন সেকথাও উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
চিঠির শুরুতেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে,'আজ এই পুণ্যলগ্নে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও সরকার পোষিত কর্মচারীদের বিগত ১২ বছর ধরে যে মহার্ঘ ভাতা বকেয়া আছে এবং শূন্যপদে নিয়োগ বকেয়া আছে, স্বচ্ছ ও স্থায়ী ভাবে নিয়োগের মাধ্যমে তা আমাদের বর্তমান বাসভবন শহিদ মিনারে এসে মিটিয়ে দিতে অনুরোধ করছি'
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ডিএ-এর দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের এই পদক্ষেপকে মোটেও ভালো ভাবে দেখছে না রাজ্য। ধর্নায় যোগ দিতে যাওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। তবে সরকারের হুঁশিয়ারির সামনেও আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মীরা। রাজধানীতে দু'দিকের কর্মসূচি পালনের জন্য রবিবারই কলকাতা থেকে রওনা হয়েছিলেন শতাধিক কর্মী। সোমবার প্রায় ৫০০ আন্দোলনকারী জমা হয়েছেন দিল্লির যন্তর-মন্তরে। উল্লেখ্য এর আগেও নবান্নের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ধর্মঘট করেছেন সরকারি কর্মীরা। এবারেও সেই একই ছবি দেখা গেল। বরং রাজ্য সরকারের প্রতি তাঁদের পালটা বার্তা,'সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সৎ মনোভাব দেখান।' রাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারির প্রভাব কোনওভাবেই আন্দোলনে পড়বে না বলে সরকারি কর্মীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়, সরকারের চোখ রাঙানিকে ভয় পায় না কর্মী সমাজ ও শিক্ষক সমাজ। আন্দোলনে অনড় থাকার কথাই জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য,'সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সরকার সৎ মনোভাব দেখাক, রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সেটাই সঠিক পদক্ষেপ হবে।' তাঁরা আরও জানান,'ওঁরা যত ভয় দেখাবে যত চোখ রাঙাবে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক ততই খারাপ হবে, ফলে রাজ্যটা রসাতলে যাবে।'