সংক্ষিপ্ত

এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর গোটা রাজ্যেই তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। সেইসময়ই বেআইনি কারবার চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কেরামত আলিকে।

 

এগরার সঙ্গে দত্তপুকুরের বাজি কারখানার মিল রয়েছে অনেকে। এটিও একটি বেআইনি বাজি কারখানা। এই বাজি কারখানার মালিকও বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে। যদিও এগরার কারখানার মালিক ভানু বাগকে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় ওড়িশার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু এখানে আর সেই সময় দেয়নি মালিক কেরামত আলি। বিস্ফোরণের কারণে তার মৃত্যু হয়। তার সঙ্গে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে তার ছেলেও। দত্তপুকুর বাজি কারখানায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর গোটা রাজ্যেই তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। সেইসময়ই বেআইনি কারবার চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কেরামত আলিকে। যদিও পরবর্তীকালে জামিনে ছাড়া পায় কেরামত। কিন্তু তারপরেই আবার কী করে সেই বেআইনি বাজি ব্যবসা শুরু করেছিল তানিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে পুলিশের নজরদারি নিয়েও।

২০২১ সালের পর থেকেই কেরামত আলি বেআইনিভাবে নিজের বাড়িতেই বাজি কারখানা চালাচ্ছিল। কারণ ২০২১ সালে তার লাইসেন্স রিনিউ হয়নি। গ্রেফতারির পর জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। তারপর আবারও বাজির ব্যবসা ফেঁদে বসে। সেখানে বেশ কয়েকজন এলাকার মানুষ কাজও করতে শুরু করে। জনবহুল এলাকাতে বাজি ব্যবসা নিয়ে আগেও অভিযোগ জানিয়েছিল স্থানীয়রা। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ। জনবহুল এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বেআইনি বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল। তাতেই বিস্ফোরণের তীব্রতা বেড়ে গিয়ে হতাহতের সংখ্যা বাড়িয়েছে বলে দাবি এলাকার মানুষের। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তেমনভাবে প্রশাসন মুখ খোলেনি।

দত্তপুকুরের কেরামত আলির দুই স্ত্রী আর পাঁচ সন্তান। যদিও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে থাকত না। প্রথম পক্ষের দুটি আর দ্বিতীয় পক্ষের তিনটি সন্তান। স্থানীয়দের কথায় আগেও একবার কেরামতের বাদি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। কিন্তু সে ঘটনাস্থলে না থাকায় গ্রেফতার করেনি পুলিশ। চার থেকে পাঁচ বছর আগেই কেরামত বাজির ব্যবসা শুরু করেছিল। যদিও কেরামতের দ্বিতীয় স্ত্রীর দাবি বাজি কারখানায় সে কাজ করত ৭ হাজার টাকা বেতনের বিনিময়।

এদিন দত্তপুকুরের বাজি কারখানা থেকে প্রায় ২০০ কুইন্টাল বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। প্রচুর পরিমাণে অবৈধ বিস্ফোরক মজুত ছিল বলেও অভিযোগ পুলিশের। কারণ বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি যে যে পাকা বাড়িতে বাজি তৈরি হত সেটি পুরোপুরি ভেঙে গেছে। আশপাশের বাড়িতেও ভেঙে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় পথচলতি মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রশাসন এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছুই জানায়নি। মজুত করা বিস্ফোরকে কোনওভাবে আগুন লেগে যাওয়াতেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ বলেও দাবি করছে স্থানীয়রা।

সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক এশিয়ানেট সুবর্ণা নিউজের, জিতে নিল ENBAএর ৯টি বিভাগের পুরস্কার

'অবৈধ বাজি কারখানার সঙ্গে তৃণমূলের স্বার্থ যুক্ত', দত্তপুকুর বিস্ফোরণ নিয়ে চড়া সুরে আক্রমণ শুভেন্দুর

Chandrayaan-3: চাঁদের মাটির উষ্ণতা ঠিক কত? বিশ্বে প্রথম সেই তথ্য পাঠাল রোভার প্রজ্ঞান